তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাহিদুলের হাত থেকে রক্ষা পাননি গ্রামবাসীও

প্রশ্নফাঁসে জড়িত জাহিদুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
প্রশ্নফাঁসে জড়িত জাহিদুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসিসহ) ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৭ জনের মধ্যে একজন ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার জাহিদুল ইসলাম। তিনি শম্ভুপুর ইউনিয়নের চর কোড়ালমাড়া ইয়াসিনগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মান্নান মাস্টার বাড়ির আবদুল লতিফের ছোট ছেলে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সরেজমিনে জাহিদুলের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে পাঁচটি টিনের ঘর। এর মধ্যে জাহিদুলের ঘরটি পুরোনো টিনের। বারান্দায় একটি সোফা ও একটি নতুন খাট ছাড়া তেমন দামি কোনো আসবাব নেই। বাড়িতে মা-বাবা, ছোট বোন ও মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী থাকেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুলরা চার বোন ও তিন ভাই। ভাইদের মধ্যে জাহিদুল সবার ছোট। ছোটবেলায় জাহিদুল প্রথমে লালমোহন উপজেলার রায়চাঁদ এলাকার একটি মাদ্রাসায় হাফেজি পড়েছেন। কিন্তু পারিবারিক নানা কারণে পড়া শেষ করতে পারেননি। পরে লালমোহনের ডাওয়ারী মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও পরে লালমোহন কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন। বর্তমানে লালমোহন কামিল মাদ্রাসায় ফাজিল তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।

জাহিদুলের বড় বোন মায়ানুর বেগম বলেন, জাহিদুল আমার ছোট ভাই। পড়াশোনা করার জন্য দুই বছর আগে ঢাকায় পাঠাই ওকে। ঢাকায় মিরপুর এলাকায় থেকে পড়াশোনা করত। পরে জানতে পারি, পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করে, কিছুদিন আগে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে শুনতে পাই আমার ভাই প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, জাহিদুল ইসলামকে জুয়েল নামে জানে সবাই। দুই বছর ধরে বিভিন্ন পরীক্ষায় পাস ও চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন সময়ে এলাকার মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিত। বাড়িঘরের অবস্থা নাজুক হলেও এলাকায় জাহিদুলের চলাফেরা ছিল বড়লোকের ছেলেদের মতো। তার কথায় সহজে মন গলে যেত। এ সুযোগে সে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়া ও চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার আত্মীয়-স্বজনও তার প্রতারণা থেকে রেহাই পায়নি। বিভিন্ন সময় তার ফেসবুক আইডি থেকে চাকরির আবেদন পোস্ট করে প্রলোভন দেখাত। তবে পাওনাদারদের ভয়ে এক বছর ধরে ঠিকমতো বাড়ি ফেরে না সে। ফিরলেও রাতে এসে ভোরেই চলে যান।

প্রতিবেশী শাহাবুদ্দিন জানান, জাহিদুল ইসলাম ওরফে জুয়েল চাকরি দেবে বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তাই তার গ্রেপ্তারে এলাকার অনেকেই আনন্দিত। টাকা ফেরত না পেয়ে আবুল কাশেম নামের এক ভুক্তভোগী মামলাও করেছেন জাহিদুলের নামে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, জাহিদুল এক বছর আগেও এলাকার মানুষজনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছে। এরপর থেকে সে উধাও হয়ে যায়। এখন বাড়িতেও আসে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডাকসু নিয়ে সিবগাতুল্লাহ সিবগার পোস্ট

দেব-শুভশ্রীর পাল্টাপাল্টি জবাব, নায়িকার সম্মানহানি চাননি নায়ক

চবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর স্থানীয়দের সাত দফা দাবি

ডাকসু নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই : ঢাবি প্রশাসন

দেশে স্বৈরাচার ঠেকাতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে : মনি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়ার সমাধিতে যুবদলের শ্রদ্ধা

নিজ হাসপাতালে পড়ে ছিল চিকিৎসকের গলাকাটা মরদেহ

হ্যারি পটার সিরিজে নতুন চমক

এলাকাবাসীর মাঝে হিজড়াদের মিষ্টি বিতরণ

বিশ্বকাপজয়ী মার্টিনেজ নয়, অখ্যাত এক বেলজিয়ানের ওপর ভরসা ম্যানইউর

১০

জশনে জুলুসকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম নগরজুড়ে চলছে দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা

১১

গুজবে কান না দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সেনাপ্রধানের আহ্বান 

১২

ডাকসু-জাকসু-রাকসু-চাকসু হতেই হবে : সারজিস

১৩

টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের, দেখে নিন একাদশ

১৪

শ্রাবন্তীর বোল্ড লুক, নিজের মতো খুশি থাকার শিক্ষা

১৫

কেন ক্ষমা চাইব? আমি তো কোনো অন্যায় করিনি : বাকৃবি উপাচার্য

১৬

একটা লোককে ভিপি বানাতে ডাকসু আয়োজন করা হচ্ছে, অভিযোগ মেঘমল্লার বসুর

১৭

নদীতে গোসলে নেমে তলিয়ে গেল দুই শিশু

১৮

হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া কীসের ইঙ্গিত? যা বলছেন চিকিৎসক

১৯

তারেক রহমানকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে দেশের মানুষ : মেয়র শাহাদাত

২০
X