ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আদালতের ফটক থেকে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাইভেট শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ওরফে মনিরের (৩৭) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের থেকে মেয়েকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় কুড়িপাইকা গ্রামের বিল্লাল ভূঁইয়ার বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেয়ের মা বিলকিছ বেগম।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, তাদের পাশের গ্রাম হীরাপুরের মৃত জানু মিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির মাস্টার। এক সময় তার মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতেন তিনি। এ সময় ওই শিক্ষক তার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু মানসম্মানের কথা চিন্তা করে তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন। বর্তমানে তার মেয়ের স্বামী প্রবাসে রয়েছে। মেয়ের ঘরে একটি ১৭ মাস বয়সী ছেলেসন্তানও আছে। কিন্তু বিয়ের পরেও মনির মাস্টার তার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইলে তারা শিক্ষককে নিষেধ করেছেন। এ কারণে ওই শিক্ষক তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। গত ২০ জুলাই তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ওই মামলার হাজিরা দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় মনির মাস্টার ও তার সঙ্গীরা আদালত ফটকের সামনে থেকে তার মেয়েকে জোরপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মেয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না তারা। এ ঘটনায় তিনিও আদালতে মামলা করেছেন।
বিলকিছ বেগম বলেন, শিক্ষক মনির আমার মেয়েকে গোপন কোনো এক জায়গায় লুকিয়ে রেখেছে। তার থেকে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, ১৭ মাস বয়সের নাতি মাকে না দেখে কান্নাকাটি করছে। কিছু খেতে চায় না। দিন দিন না খেয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মনির মাস্টার আমার পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সে মঙ্গলবার রাতেও আমাকে ফোন দিয়ে সংবাদ সম্মেলন না করার জন্য হুমকি দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওই শিশু, মেয়ের বাবা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য এসব অভিযোগ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন