বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালানোর পর মাত্র ২০ মিনিটে কোটা আন্দোলনের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এরপরই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ওই মিছিল থেকে শহর ও জেলা বিএনপির অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ আগুন লাগানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বগুড়ায় ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। দিনভর তাণ্ডবে ৫ সাংবাদিকসহ অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা থেকে কোটা আন্দোলনের সমর্থকরা বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা জাসদ কার্যালয়, প্রধান ডাকঘর, টাউন ক্লাব ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খাঁন রনির ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। একই সময়ে সাতমাথা চত্বরে থাকা অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ এবং সেখানে থাকা ৮টি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
তবে জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন বলেন, বিএনপি অফিসে কারা আগুন দিয়েছে সেটা আমরা জানি না। শুনেছি তাদের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে।
তবে জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, পুলিশের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বিএনপি অফিসে আগুন দিয়েছে। তিনি বলেন, সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীদের সম্পৃক্তা নেই।
বগুড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন