কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কারফিউর প্রভাবে সুনশান কুয়াকাটা সৈকত

গত কয়েক দিনের আন্দোলনের মুখে সুনশান নীরবতা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে। ছবি : কালবেলা
গত কয়েক দিনের আন্দোলনের মুখে সুনশান নীরবতা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে। ছবি : কালবেলা

গত কয়েক দিনের আন্দোলনের প্রভাবে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা সৈকতে এখন সুনশান-নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। কয়েক দিন আগেও যে সৈকত পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে থাকত আজ সেখানে নিস্তব্ধতা বিরাজমান। কোথাও কোনো পর্যটকের আনাগোনা নেই। স্থানীয় কিছু লোকজন সৈকতের অবস্থা দেখার জন্য বেরিয়েছেন।

বিগত কয়েক দিন ধরে সারা দেশে কোটা সংস্কার নিয়ে চলমান আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে সব কর্মকাণ্ড। অলস সময় পার করেন পর্যটনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সব ব্যবসায়ী। পুরো সৈকতে নীরবতা। পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা।

পর্যটক না থাকায় অলস সময় পার করছেন হোটেল কর্মচারীরা। অধিকাংশ হোটেল কর্তৃপক্ষ ছুটি দিয়েছে কর্মচারীদের।

সি গোল্ড রিসোর্টের কর্মচারী মো. জিসান বলেন, অবসর সময় কাটাচ্ছি। কারফিউর কারণে পর্যটকদের আনাগোনা নেই। ফলে অলস সময় কাটাচ্ছি।

কানসাই ইনের ফ্রন্ট অফিসার জুয়েল ফরাজি বলেন, কারফিউর কারণে আমার হোটেলে প্রায় ১৫ পর্যটক আটকা পড়েছিলেন। তাদের সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গন্তব্যে পৌঁছে দেয় হয়েছে। এখন পুরো হোটেলের রুম ফাঁকা পড়ে আছে। কবে নাগাদ আবার পর্যটক আসবে সেটা বলা মুশকিল।

হোটেল গোল্ডেন ইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএম জহির জানান, পর্যটন ক্ষেত্রে সবার আগে ধাক্কা লাগে। এ ধাক্কা কাটতে সময় লাগে অনেক দিন। রাজনৈতিকসহ নানা সমস্যা তৈরি হলেই আমাদের হোটেল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সংকটের মুখে আমরা পড়ি। খরচ বাড়ে, আয় আসে না। বর্তমান সংকট কাটিয়ে কবে উঠতে সক্ষম হব তা জানা নেই।

ক্যামেরাম্যান মো. মাসুদ বলেন, প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা আয় হতো। গত কয়েক দিনে ডেইলি ১০০ টাকাও আয় হয় না। বৌ-বাচ্চা নিয়ে সংসার চালানো, মাস গেলে বাড়ি ভাড়া দিয়ে টিকে থাকা এখন কষ্ট হচ্ছে। এটা থেকে মুক্তি চাই, না হয় না খেয়ে মারা যেতে হবে।

সৈকতে চা বিক্রেতা আলতাফ বলেন, মানুষ অস্থিরতা দেখে ভয় পাচ্ছে ঘর থেকে বের হতে। কোটা আন্দোলন নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার পর থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা নেই। ফলে চা বিক্রি হয় না। কষ্ট করে দিন পার করি।

হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মোতালেব শরীফ বলেন, দেশের মধ্যে কোনো অস্থিরতা থাকলে মানুষ ঘর থেকে বের হয় না। কয়েক দিন ধরে চলমান কোটা আন্দোলনের অস্থিরতায় পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এ সংকট দূর না হলে আমরা পথে বসে যাব। আমাদের সংকট উত্তরণে সময় লেগে যায় অনেক। আয় না হলেও আমাদের কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিলসহ নানা খরচ কিন্তু কমে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফুটবলের উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ফের চালু হচ্ছে

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৭, চিহ্নিত ৩১

ই-রিটার্ন ব্যবস্থায় যুক্ত হবে ব্যাংকিং তথ্য : এনবিআর চেয়ারম্যান

এবার ভক্তদের মুগ্ধ করলেন অপু

আলোচনার আগেই থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে ফের সংঘর্ষ

হাদি হত্যা / ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক ট্রাইব্যুনাল দেখতে চায় ইনকিলাব মঞ্চ

আরেকটি তেল ট্যাংকার ধরার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড

রাশিয়ায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলার কবলে ২ জাহাজ

বিপিএল : রাজশাহীর সমর্থকদের জন্য মিলল সুখবর

১০

মাথায় গুলিবিদ্ধ এনসিপি নেতার সর্বশেষ অবস্থা

১১

রজব মাসের বিশেষ কোনো নামাজ-রোজা আছে? জেনে নিন

১২

এবার এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ

১৩

ইনকিলাব মঞ্চ / নির্বাচনের আগে হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে

১৪

আইপিএল খেলা বিধ্বংসী ওপেনারকে দলে ভেড়াল নোয়াখালী

১৫

খাল পাড়ে ৪৫০ বস্তা আলু, ৪ দিনেও মালিকের খোঁজ মেলেনি

১৬

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন আসিফ মাহমুদ

১৭

নিবন্ধন পেল আমজনতার দল

১৮

সাভারে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

১৯

এবার হেনস্তার শিকার সামান্থা

২০
X