মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পাকা হয়নি রাস্তা, ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ

বর্ষা এলেই কাদামাটিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি। ছবি : কালবেলা
বর্ষা এলেই কাদামাটিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি। ছবি : কালবেলা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভা সংলগ্ন মুসুল্লীয়াবাদ আলতাফ মুসল্লির দোকান থেকে সাধুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। বর্ষা এলেই এ সড়কে ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। কাদাপানি জমে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। তৈরি হয় অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দের।

স্থানীয়রা আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেরও কাঁচা রাস্তাটি পাকা হয়নি। সরকার আসছে সরকার যাচ্ছে কিন্তু আমাদের এ রাস্তাটির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

সরেজমিন জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভা লাগোয়া লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লীয়াবাদ সিনিয়র মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীশ্রী অনুকূল ঠাকুরের সৎ সংঘ মন্দির রয়েছে সড়কটির আশপাশে। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের আসা-যাওয়ার অন্যতম রাস্তা এটি। বর্ষা মৌসুম এলেই সড়কটি হাঁটু পর্যন্ত কাদা হয়ে যায়। স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আশপাশের রাস্তাগুলো পাকা হলেও এ রাস্তা এখনো কাঁচা রয়ে গেছে। এমন দুর্ভোগ লাঘবে এলাকাবাসী কাঁচা রাস্তা পাকা করতে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদসহ জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হলেও কোনো সুফল আসেনি।

মুসল্লীয়াবাদ সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, এ রাস্তা দিয়ে আমাদের প্রতিদিন মাদ্রাসায় আসতে যেতে হয়। এ রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় অনেক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বর্ষার পানি জমে হাটুসমান কাদা হয়ে গেছে। গর্তে পড়ে অনেকদিন ভেজা কাপড় পরেই ক্লাস করতে হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এ কাঁচা রাস্তাটি স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত কাঁচাই রয়ে গেল। জনপ্রতিদের স্বদিচ্ছার অভাবে রাস্তাটি আজও ঠিক হয়নি। সড়কের এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

লতাচাপলি ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মুসল্লি বলেন, স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি বারবার চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছি।

এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাদেকুর রহমান বলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এখনো কাঁচা, সেগুলো পাকা করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে আমরা সেই কাজ করতে পারছি না। তবে নতুন প্রকল্প আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে এসব রাস্তা দ্রুত পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবির সহকারী প্রক্টরসহ বাগছাসের ৩ নেতার ওপর ছাত্রদলের হামলা

‘আলী’ ভাইবোনের ভালোবাসার এক মানবিক আখ্যান

উপকূলের মানুষের অধিকার আন্দোলন আরসিপির যাত্রা শুরু

১৩ সেবা পেতে লাগবে না আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণ

বাবার গুলিতে টেনিস খেলোয়াড় নিহত

ভুয়া বিজ্ঞপ্তি ছড়ালে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি পিএসসির

মাধবপুরে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ইরানের ওপর নতুন চাপ জার্মানির, বোঝাপড়া করার হুঁশিয়ারি

ভারতের আপত্তি উপেক্ষা করে ঢাকাতেই হবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভা!

ফল জালিয়াতি / ১০ বছর পর রাজশাহীর শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত

১০

রেজাল্ট খারাপ হওয়ার চেয়েও অনেক খারাপ কিছু হয় জীবনে: খায়রুল বাসার

১১

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা জানাল ইরান

১২

পাল্লেকেলেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, ফিরেছেন সাইফুদ্দিন

১৩

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের গুঞ্জন, স্পষ্ট করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৪

ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন চীনের

১৫

সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ ডাকার নিয়ম বাতিল

১৬

কুমিল্লায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা

১৭

কোনো নির্বাচনেই আর ইভিএম ব্যবহার হবে না : ইসি 

১৮

রাডার ফাঁকি দিতে পারে এমন বিমান তৈরি করবে সৌদি

১৯

পটুয়াখালীর ৪ প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল, মোবাইল বন্ধ প্রধান শিক্ষকদের

২০
X