২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পটুয়াখালী জেলার ৪টি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। এসব বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১২ জন শিক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
এছাড়াও একটি প্রতিষ্ঠানের ১৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে মাত্র একজন পাস করেছে।
সরকারি বেতন ভাতা নিয়ে কমসংখ্যক শিক্ষার্থীও পাস না করায় জেলায় হাস্যরসে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। খারাপ ফলাফল করা সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বরিশাল শিক্ষা বোর্ড প্রকাশিত এসএসসি ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
পটুয়াখালীর সদর উপজেলার মিয়াবাড়ি মডেল হাইস্কুল থেকে একজন, মির্জাগঞ্জ কিসমতপুর গার্লস স্কুল থেকে দুজন, দশমিনা পূর্ব আলীপুর হাইস্কুল থেকে ৮ জন এবং দুমকি জলিশা গার্লস স্কুল থেকে একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু তাদের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ফলে পাসের হার দাঁড়িয়েছে শতভাগ শূন্যতে।
এছাড়াও জেলার দুমকি উপজেলার উত্তর শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে মাত্র একজন পাস করেছে এবং ১৬ জন ফেল করেছে। জেলার এসব ফলাফল নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এবার পটুয়াখালী জেলায় গড় পাসের হার ৫৫.৭২ শতাংশ, যা বরিশাল বোর্ডের সামগ্রিক গড় ৫৫.১৮ শতাংশের চেয়ে কিছুটা বেশি। তবে ৫টি বিদ্যালয়ের এমন করুণ ফলাফল এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
শিক্ষা অফিস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক অবস্থা, পাঠদানের পরিবেশ ও শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা খতিয়ে দেখা হবে।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী বোর্ড এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেবে, আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।
মন্তব্য করুন