সিলেটে বিমানের টিকিট থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার, সবখানে সিন্ডিকেট। কোটা আন্দোলনের অজুহাত দেখিয়ে সব ধরনের সবজির দাম বাড়ানো হয়েছে। ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। শহরতলী ও গ্রামের অবস্থা আরও ভয়াবহ। যেন সিন্ডিকেটের বৃত্তে বন্দি সিলেটের সাধারণ মানুষ।
সিলেট নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি থাকলেও লাগামহীন দাম নেওয়া হচ্ছে। কাঁচামরিচ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গাজর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, টমেটো ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, করলা ১৩০ থেকে ১৫০, কাঁকরোল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ ১০০ থেকে ১২০ টাকা , কুমড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মুকি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, লোভি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা ও ঝিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে আলুর কেজি ছিল ৪০ থকে ৪৫ টাকা। বুধবার (২৪ জুলাই) তা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।
রিকাবীবাজারের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস কালবেলাকে বলেন, গাড়ি না আসায় বাজারে সবজি কম। যা আছে তা দিয়ে চলতে হচ্ছে।
তবে স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার (২২ জুলাই) রাত থেকে বিভিন্নভাবে বাজারে সবজি আসছে। এখন যে যেভাবে পারে সেভাবে সবজির দাম নিচ্ছে।
বাজার করতে আসা সামছুল হক কালবেলাকে বলেন, ১০০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজি নেই। বিক্রেতারা যেভাবে বলে সেভাবে সবজি কিনতে হয়। না হয় খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়।
সুবিদবাজারের বাসিন্দা নুনু মিয়ার সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তিনি বলেন, আন্দোলন অজুহাত মাত্র। বাজারে প্রচুর সবজি থাকার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে তারা দাম বাড়িয়েছে। প্রশাসনের বাজারের দিকে নজর দেওয়া উচিত।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট হোসাইন মোহাম্মদ আল জুনায়েদ কালবেলাকে বলেন, বিভিন্ন স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কীভাবে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখ যায় সে ব্যপারে আমাদের পর্যবেক্ষণ আছে। প্রয়োজনে বাজার মনিটরিং করা হবে।
মন্তব্য করুন