বগুড়ার সোনাতলায় কৃতজ্ঞতা সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগকে না জানিয়ে উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে উপজেলা নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রগতি মেধা অন্বেষণ পর্ষদ’র উদ্যোগে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) সোনাতলা পৌর অডিটোরিয়ামে কৃতজ্ঞতা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান। পরে সিরাজুল ইসলাম রিপনকে সভাপতি ও মুরাদুল ইসলাম মারুফকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৩ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রায়হান কবির।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু, ভাইস চেয়ারম্যান ফিদা হাসান খান টিটো প্রমুখ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মী জানান, ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা হবে ছাত্রলীগের কর্মিসভায়। এখানে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা সমাবেশে এ কমিটি ঘোষণা হতে পারে না। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আমাদের অনেকের জীবন বৃত্তান্ত নিয়েছেন। তারা কমিটি ঘোষণা করবেন। কিন্তু এখন যে কমিটি ঘোষণা করার হয়েছে এটা তো পকেট কমিটি।
পাকুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আল মামুন বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মিসভা হয়। সেই কর্মিসভায় প্রায় ৫০ জনেরও বেশি পদপ্রার্থীরা জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের হাতে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। শনিবার আমাদের কৃতজ্ঞতা সমাবেশে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু গিয়ে দেখি তারা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেছেন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়া এ কমিটি তারা ঘোষণা দিতে পারে না।
জানতে চাইলে কমিটি ঘোষণাকারী বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রায়হান কবির বলেন, আপনারা সবই জানেন, বোঝেন। তাই আমি কিছু বলতে পারছি না। বগুড়া আসেন, দেখা হবে, কথাও হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় বলেন, কীসের কমিটি ঘোষণা। আমরা কিছু করিনি। কমিটির কাউকে কোনো দায়িত্বও দেওয়া হয়নি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা কালবেলাকে বলেন, উপজেলা কমিটি ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় বা জেলা কমিটি। সোনাতলায় কমিটি কে বা কারা করেছে বিষয়টি আমরা জানি না। এর দায়ভার জেলা ছাত্রলীগ নেবে না। কেউ যদি আমাদের এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন