বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী কর্মচারীকে মারধর করেছেন স্থানীয় এক যুবলীগ কর্মী। রোববার (২৮ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
যুবলীগ কর্মী হাসিব আমিন মোংলা পৌর কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেনের আপন শ্যালক।
জানা গেছে, যুবলীগ কর্মী হাসিব ওই নারী স্টাফকে মারপিটের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কবির হোসেন নিজেও। সরকারি হাসপাতালের নারী কর্মচারীকে মারধরের খবরে হাসপাতালের অন্য কর্মচারীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মচারী সাবিনা সুলতানা কালবেলাকে বলেন, পৌর কাউন্সিলর কবির হোসেন কয়েকজন লোক নিয়ে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোগীকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। ওই সময়ে হাসপাতালের রোগীদের ওষুধ সরবরাহের সময় ছিল। এ কথা বলতেই কাউন্সিলর কবির হোসেনের শ্যালক হাসিব আমিনসহ অন্যরা আমার ওপর চড়াও হন। পরবর্তীতে হাসিব আমাকে বেধড়ক মারধর করেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহীন ছুটে আসেন। পরে পুলিশও আসে। এ ছাড়া হাসিবের পক্ষ হয়ে আওয়ামী ও যুবলীগের নেতারা আসেন। এ নিয়ে হাসপাতালে চরম বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে তারা আমাকে সরি বলে চলে যান। আমি এমন সরি মানি না। হাসিব আমাকে যাওয়ার সময় পিটিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যান। আমি মামলা করব, সরির মতো বিচার আমি মানি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ সভাপতি কবির হোসেন বলেন, রোগী দেখাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের কর্মী হাসিবের সঙ্গে হাসপাতালের এক নারী কর্মচারীর বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। পরে আমিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছে।
বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জালাল উদ্দীন কালবেলাকে বলেন, আমি মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি।