চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রাত জেগে মন্দির পাহারা দিচ্ছেন জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ও গির্জাগুলোতে নিরাপত্তা দিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।
গত সোমবার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার খবরে আনন্দে গণজোয়ার সৃষ্টি হয় সীতাকুণ্ডে। এ সময় জামায়াত-বিএনপি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা থানায় পাহারা দেন। যেন থানায় কোনো আক্রমণ করতে না পারে উৎসুক জনতা।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আমাদের। এ দেশ রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। শেখ হাসিনার পতনের বিজয় উল্লাস প্রমাণ করে দেয় মানুষ কত কষ্টে ও জিম্মি ছিল। সবকিছু ভুলে গিয়ে দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাই। প্রতি রাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা মন্দির ও গির্জা পাহারা দিচ্ছে।
সীতাকুণ্ডের জামায়াতে ইসলামী নেতা অ্যাডভোকেট হুসাইন মোহাম্মদ আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ ১৬ বছর আমাদের নানা ধরনের নির্যাতন করে শত শত নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে। এ বিজয় জনগণের। এ বিজয় ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে হবে। মন্দির ও গির্জা নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা সচেষ্ট থাকব।
বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সীতাকুণ্ড উপজেলার সহ-সমন্বয়ক শেখ ফারহান বলেন, ছাত্রদের বিজয়ের পর থেকেই সীতাকুণ্ডের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মন্দিরের নিরাপত্তায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।
উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের কালীমন্দির এলাকার বাসিন্দা শ্যামল বলেন, জামায়াত-বিএনপি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেভাবে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও গির্জা পাহারা দিচ্ছে তা প্রশংসনীয়।
মন্তব্য করুন