জয়পুরহাট সদর থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার চার দিন পর থানার আংশিক কাজ শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে থানার প্রাথমিকভাবে কাজকর্ম শুরু হয়। এ সময় জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং জয়পুরহাট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিতি ছিলেন। পরে একজন ভুক্তভোগী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এ সময় জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী সংবাদমাধ্যমকে জানান, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। গত দুই দিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন সবচেয়ে বড় কাজ মানুষের আস্থা অর্জন ও দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা। এ লক্ষ্যে সেনাবাহিনীও কাজ করছে। তারা বিভিন্ন উপজেলায়ও যাচ্ছেন। থানা সংস্কারের কাজগুলোও শিগগিরই শেষ করা হবে।
তিনি বলেন, নতুন আইজিপির নির্দেশে সব পুলিশ কাজে যোগদান করছে। শিক্ষার্থী, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করছেন। এ জন্য জেলা প্রশাসক তাদের অভিন্দন জানিয়েছেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের থানায় এসে অভিযোগ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
জয়পুরহাট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মো. জেবায়ের বলেন, যেসব বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তা দ্রুত সময়ে সাধ্যমতো সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় জয়পুরহাট পুলিশ সুপার নূরে আলম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাতে কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাও করে। তারা থানায় অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল খেকে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়। ওই রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাবেক যুবদল নেতা মেহেদী হাসান (২৯) মারা যান। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থকদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন