চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি। ডুবে আছে ফসলি জমি। এছাড়া চলতি মৌসুমে রোপণের জন্য তৈরি করা আমনের বীজতলাও ডুবে গেছে। তাতেই কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আমন চাষকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫৯০০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হওয়ার কথা। যার কারণে কৃষকরা প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি করে। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে আমনের বীজতলা ডুবে যাওয়ায় অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে লক্ষ্যমাত্রা আমনের ধান উৎপাদন সম্ভব হবে না।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে বেশিরভাগ ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ চারা পচে নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা তৈরির সময় না থাকায় জমি অনাবাদি থাকার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উপজেলা সৈয়দপুর ইউনিয়নের নুর আবছার নামের এক কৃষক বলেন, তিনবার বীজতলা করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু বর্ষার পানিতে ডুবে গেছে। আমাদের ফসলি জমি মনে হয় এবার পড়ে থাকবে। সৈয়দপুর ইউনিয়নের মধ্যে প্রতিবছর বর্ষায় একই চিত্র থাকে। কারণ বেশ কয়েক বছর ধরে সৈয়দপুর ইউনিয়নের স্লুইসগেট নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। যার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। স্লুইসগেট যতদিন ঠিক হবে না ততদিন কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষি অফিস থেকে আমাদের সহযোগিতা না করলে চলতে পারব না।
আমিন হোসেন নামের আরেক কৃষক বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে কয়েকবার আমনের বীজতলা ডুবে যাওয়ায় বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে এবার আমনের চাষ করা সম্ভব হবে না।
সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ বলেন, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৫৯০০ হেক্টর জমিতে চাষ হওয়ার কথা। এই আমন চাষকে কেন্দ্র করে প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে বীজতলাগুলো ডুবে যাওয়ার কারণে কয়েকটি ইউনিয়নের আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও একেবারে পচে গেছে। যার কারণে অনেক আমন চাষের জন্য রাখা জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকবে। অনাবাদি জমিগুলোতে যেন আগাম কৃষকরা সবজি চাষ করে।
মন্তব্য করুন