পাবনা সদরের মালঞ্চিতে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি গঠন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমেদ বাবুর তিন ভাইয়ের নেতৃত্বে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাজেদুর রহমান শান্তর মা সীমা খাতুনকে গুলির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে এ বিষয়ে পাবনা সদর থানায় এজাহার জমা দেওয়া হয়।
এর আগে রোববার (৩১ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের নলমুড়া বোর্ডপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গুরুতর আহতাবস্থায় সীমা খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : একটা লাশ ফেলাই বিএনপির উদ্দেশ্য : কাদের
আহত সীমা খাতুন মালঞ্চি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাজেদুর রহমান শান্তর মা ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আসলাম হোসেনের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ৯টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মালঞ্চি ইউনিয়নের হাড়িবাড়িয়া এলাকার মৃত আব্দুল করিম বিশ্বাসের ছেলে ও ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমেদ বাবুর ভাই মো. আলো (৪৫), মো. মামুন (৫১), মো. কায়েস (৪০) এদের নেতৃত্বে হামচিয়াপুরের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে মো. প্রিন্স, পার গোবিন্দপুরের মৃত কাইয়ুমের ছেলে মো. আজাদ (৪২), মমিনের ছেলে মো. সুমন (৩২), নতুর ছেলে মো. শামীম (৩৩), মামুনের ছেলে মো. মুন (২৬), মো. শুভ (২৭), আসাদুজ্জামানের ছেলে রুবেলসহ ৩০ থেকে ৪০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হাতে বন্দুক, চাপাতি, রামদা, জিআইপাইপ, লোহার রড, কাঠের বাটাম, বাঁশ ইত্যাদি অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাজেদুর রহমান শান্ত ও তার বাবা ইউপি সদস্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আসলাম হোসেনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় মাথায় ও হাতের গুলি লাগায় গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
মালঞ্চি ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আসলাম হোসেন বলেন, তারা মূলত আমি ও আমার ছেলে শান্তকে হত্যা করতে আসছিল। আমাদের দুজনকে না পেয়ে বাড়িতে চেয়ারম্যানের ভাইদের নেতৃত্ব অতর্কিত গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। এ সময় আমার স্ত্রী সীমা খাতুন এগিয়ে এলে তাকে গুলি করা হয়।
আরও পড়ুন : সরকারের নির্দেশে পদযাত্রায় গুলি করেছে পুলিশ : রিজভী
মালঞ্চি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শান্ত বলেন, চেয়ারম্যান কবির আহমেদ বাবু তার ভাইদের লেলিয়ে দিয়ে আমার বাড়িতে গুলি করিয়েছে। গুলি করার সময় গেট আটকে দিলে গেট ভেদ করে আমার মায়ের মাথায় ও হাতে গুলি লাগে। চেয়ারম্যানের সঙ্গে যারা থাকে সবাই ইয়াবা ব্যবসা করে। কিছুদিন আগেও একজন ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়েছিল। গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমাদের উপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিল।
মালঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমেদ বাবু বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে এটার সঙ্গে আমি ও আমার পরিবারের কেউ জড়িত নাই। ইউপি সদস্য আসলাম নাকি আমাকে গালাগাল করছিল এটা শোনার জন্য তাদের বাড়ির ওখানে গেছিল। আমার ভাইয়েরা চলে আসার পরে তারা এসব নাটক সাজিয়েছে। যে ঘটনার ন্যূনতম কোনো সত্যতা নেই।
পাবনা সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধ বালা বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে নিজেরা নিজেরা ঝামেলা করেছিল। সেখানে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভুয়া অভিযোগ দিচ্ছে। তদন্ত করার জন্য কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন