শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদ্রাসায় না গিয়েও বেতন নেন আ.লীগ নেতা

অভিযুক্ত শিক্ষক হেলাল মিয়া। ছবি : সংগৃহীত
অভিযুক্ত শিক্ষক হেলাল মিয়া। ছবি : সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের এক মাদ্রাসা শিক্ষক দুবছর ধরে অংশ নেন না কোনো শ্রেণি কার্যক্রমে। অথচ ঠিকই সময়মতো ওঠান বেতন ভাতা।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ডোবাগাঁও বাহরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার এমপিওভুক্ত শিক্ষক (কৃষি) ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সদস্যসচিব মো. হেলাল মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, দুই তিন দিন আগে মো. হেলাল মিয়া চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য চিঠি দিয়েছেন।

হেলাল মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৪ নম্বর সিন্দুরখান ইউনিয়নের ডোবাগাঁও বাহরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার এমপিওভুক্ত শিক্ষক পদে কর্মরত থাকার পরও বছরের পর বছর ক্লাস করান না। ভ্বশিরভাগ শিক্ষার্থীরা তাকে চেনেনও না। কখনো ক্লাস নিতে দেখেনি শিক্ষার্থীরা। কয়েক বছর ধরে তিনি মাদ্রাসায় মাঝেমধ্যে আসা-যাওয়া করেন। অথচ শিক্ষক হাজিরা খাতায় তার উপস্থিতি বিদ্যমান।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ডোবাগাঁও বাহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হেলাল মিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সদস্যসচিব হওয়ায় এবং সাবেক মাদ্রাসায় তার একটা প্রচ্ছন্ন ও সুস্পষ্ট প্রভাব বিদ্যমান ছিল। ফলে তিনি বছরের পর বছর ক্লাস না করে প্রতি মাসে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন।

মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলম বলেন, আমি এ মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি থেকে লেখাপড়া করছি। এবার দশম শ্রেণিতে পড়ছি। আমি কোনোদিন হেলাল স্যারকে আমরা ক্লাসে পাইনি।

মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট ছাইফুদ্দিন মো. ইয়াহইয়া বলেন, হেলাল সাহেব গত কয়েকদিন যাবত মাদ্রাসায় নিয়মিত আসছেন। এর আগে যা হয়েছে তা বাদ দিয়ে দেন। তিনি ক্লাস না করালেও তার বদলে দুইজন অস্থায়ী শিক্ষক ক্লাস করিয়েছেন। এতে প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষককে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি।

মাদ্রাসার সদ্য বিলুপ্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেখে আসছি শিক্ষক হেলাল মিয়া ক্লাস না করিয়েও নিয়মিত বেতন ভাতা তুলছেন। এত বছর এ বিষয়ে বলার মতো সাহস কারোর ছিল না।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীলিপ কুমার বর্ধন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। এর আগে আমার কার্যালয়ের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারকেও মাদ্রাসায় পাঠিয়েছি। তিনি রিপোর্ট দিয়েছেন।

মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি আমাকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি। অনুপস্থিত থেকে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা, নিয়মিত বেতন তোলা এসব বেআইনি। যদি তদন্ত করে প্রমাণিত হয় তাহলে অনিয়মে জড়িতদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিসিবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন শান্ত

স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের দুই সপ্তাহের Students outbound program শুরু

ব্যস্ততার মাঝেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ৩ সহজ কৌশল

এর আগেও খুলে গিয়েছিল মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড

১১তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সম্মেলনে বিজয়ী ব্র্যাকইউ, ইউল্যাব ও এসএমইউসিটি

জাতীয় পার্টি মানেই আওয়ামী লীগ : আখতার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে নিহত পথচারীর পরিচয় মিলল

সুন্দরবনের রাঙ্গা বাহিনীর প্রধান আটক

এক সেতুর অভাবে দুর্ভোগে তিন উপজেলার মানুষ

যাত্রীদের উদ্দেশে মেট্রোরেলের বার্তা

১০

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে পে-কমিশনে ইউট্যাবের স্মারকলিপি

১১

ক্যানসার আক্রান্ত জুলাই যোদ্ধা, চাইলেন দোয়া

১২

ট্রাম্পের এশিয়া সফর শুরু

১৩

জামায়াতের এমপি প্রার্থীর বাসায় ককটেল নিক্ষেপ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১৪

কফির সঙ্গে যা মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন কমবে

১৫

হাডুডু খেলার অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা, ছাত্রদল নেতাসহ আহত ১০

১৬

রাজধানীতে ট্রেনে মিলল বিপুল অস্ত্র-গুলি

১৭

নারীদের জন্য জরুরি আয়রন সমৃদ্ধ ৫ খাবার

১৮

১০ জন নিয়েই বিশ্বকাপের রানার্সআপদের হারিয়ে দিল ব্রাজিল

১৯

ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পথচারী নিহত

২০
X