কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বন্যার পানি কমতে থাকায় জমে উঠেছে চাঁইয়ের বাজার

মাছ ধরার ফাঁদ চাঁইয়ের বাজার। ছবি : কালবেলা
মাছ ধরার ফাঁদ চাঁইয়ের বাজার। ছবি : কালবেলা

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় কুমিল্লার বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিতে ভেসে যায় বিভিন্ন উপজেলার বাসস্থান, কৃষি জমি, খাল বিল ও মাছের ঘের।

প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকায় পানির সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশীয় প্রজাতির ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এতে এসব এলাকায় কদর বেড়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরার ফাঁদ চাঁইয়ের।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয় উপজেলার এলাকা। গত কয়েক দিন ধরে এসব এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের তৈরি ফাঁদ দিয়ে মাছ ধরতে শুরু করেছেন। এতে কদর বেড়েছে বাঁশের তৈরি চাঁই, বুরুন, টইয়া ও পলোসহ মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামের।

সরেজমিনে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়াড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরার উপকরণের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

বিক্রেতা জামশেদ মিয়া বলেন, বর্ষাকাল আসলে ব্যবসা ভালো হয়। পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে বিভিন্ন এলাকায় পানি ওঠায় নতুন পানিতে মাছ ধরতে এখন শৌখিন মাছ শিকারিরা কিনে নিচ্ছে মাছ ধরার এসব সরঞ্জাম। আকার অনুযায়ী এসব চাঁই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। তবে টইয়া আর পলো ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দামে বিক্রি হয়।

তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস তারা এ মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন। চাঁই তৈরিতে ব্যবহৃত হয় তল্লাও কালী জিরা নামে বাঁশ। একটি বাঁশ দিয়ে ৬-৭টি চাঁই তৈরি করা যায় এবং একজন কারিগর দৈনিক ৫-৬ টির বেশি চাঁই তৈরি করতে পারেন না। কারিগররা চাঁই তৈরির জন্য একটি বাঁশ তিনশ’ থেকে চারশ’ টাকায় কিনে থাকেন।

চৌয়াড়া বাজারে চাঁই কিনতে আসা আতাউল গনি জানান, পাহাড়ি ঢলে বাড়ির পাশের জমি ও পুকুর পানিতে ডুবে যায়। এখন পানি নামতে শুরু করায় দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে। রাতের বেলা চিংড়ি এবং দিনে পুঁটিমাছ ধরা পড়ছে বেশি। দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরতে তিনি বাজারে চাঁই কিনতে এসেছেন।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাঁই দিয়ে মাছ ধরা নিষেধ নেই। তবে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে মাছ ধরা আইনত অপরাধ। কেউ এভাবে মাছ ধরলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সশরীরেই ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে সেনা কর্মকর্তাদের

স্ত্রীকে নিয়ে যা বললেন বিক্রান্ত ম্যাসি

দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি থাকলেই মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে প্রবাসীদের

মেক্সিকোর পার্লামেন্টে খালেদা জিয়াকে স্মরণ

বাসে আগুন

ট্যাক্স ছাড়া প্রবাসীরা কয়টি মোবাইল আনতে পারবেন, জানাল সরকার

অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ বৃহস্পতিবার

কৃষকের মারধরে ‘দাঁত’ ভাঙল কৃষি কর্মকর্তার

রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল ইউরোপ

অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল সরকার

১০

ইয়েমেন ও বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাজ্য-সৌদির যৌথ মানবিক প্রকল্প

১১

গুমের দুই মামলায় হাসিনার পক্ষের আইনজীবী আমীর হোসেন

১২

এভারকেয়ারের পাশে খোলা মাঠে হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলক ওঠানামা করবে

১৩

ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোয় ব্যবসায়ীদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা 

১৪

ফ্লাইওভারের সিঁড়ির নিচে বৃদ্ধের মরদেহ

১৫

হঠাৎ মেট্রো চলাচল বন্ধ, কারণ জানাল ডিএমটিসিএল

১৬

সমালোচনার মুখে সুর পাল্টালেন টুইঙ্কেল খান্না

১৭

৪ দিন পর নীলফামারী-রংপুর রুটে বাস চলাচল শুরু 

১৮

আইপিএল মিনি অকশনে কে এই মালয়েশিয়ান ক্রিকেটার

১৯

ঘরে ঢুকে ফুফুকে পিটিয়ে হত্যা, মুমূর্ষু ভাতিজি

২০
X