বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেননি বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি ঢাকা থেকে বরিশালে যাননি। তবে তিনি কয়েকবার অনলাইন মিটিং করে তার নেতাকর্মীদের নৌকার পক্ষে ভোট দিতে বললেও তাকে নির্বাচনী প্রচারে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টায় নগরীর রূপাতলীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম।
আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত সকাল ১০টায় নগরীর সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নেওয়া ভোটের ফল অনুযায়ী বরিশাল সিটির নগরপিতা হয়েছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, নৌকা প্রতীকে আবুল খায়ের ভোট পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৭৫২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পরে ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যায় ফল প্রকাশ হয়।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৭ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন ঘড়ি প্রতীকের মো. কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন।
এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জনসহ মোট ১৬৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে ভোটার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন।
মন্তব্য করুন