বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মতবিনিমিয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও অন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা হয়রানি না করতে অনুরোধ জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা এখনো সরকারের বিভিন্ন স্তরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিবিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন মহল। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
দুর্নীতিগ্রস্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, কেউ একজন জেলা প্রশাসক হোক, বিভাগীয় কমিশনার হোক, সচিব হোক কিংবা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হোক যদি তিনি অপরাধী হয়, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
শরীয়তপুরের সড়কের উন্নয়নের নামে গল্প বলা হয়েছিল এ নিয়ে তা ক্ষোভ প্রকাশ করে সমন্বয়ক বলেন, আমি ভেবেছিলাম শরীয়তপুর পদ্মা সেতু সংলগ্ন জেলা হওয়ায় উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গেছে। কিন্তু আজ যখন সড়কের অবস্থা দেখলাম মনে হল একবার কাঞ্চনজঙ্ঘা যাচ্ছি আরেকবার হিমালয়ের দিকে যাচ্ছি। একবার কলিজা হৃদপিন্ডের জায়গায় আসে আরেকবার হৃদপিণ্ড পাকস্থলি জায়গায় চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, এই যে সড়কের উন্নয়নের নামে গল্প বলা হয়েছিল, মেঘা প্রজেক্টের কথা বলা হয়েছিল। এই মেঘা প্রজেক্ট কতোটা কার্যকরী করা হয়েছে তা একজন মানুষ যখন পদ্মা সেতু হয়ে শরীয়তপুরে আসতে যায় তখন এর স্পষ্ট দৃষ্টান্ত দেখা যায়।
এর আগে সকাল ১০টায় শরীয়তপুর আসেন সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ১০ সমন্বয়ক। বেলা ১২টায় ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সমন্বয়করা।
মন্তব্য করুন