লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রধান আসামি রামগতি পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইমরান হোসেন এনাম পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে নারায়াণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও এনামকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।
উদ্ধার হওয়ার কিশোরী চরসেকান্তর সফিক একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। গ্রেপ্তারকৃত এনাম আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সবুজ গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ওই কিশোরীকে ছাত্রলীগ নেতা এনাম প্রেমের প্রস্তাবসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা তাকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে আলেকজান্ডার এলাকা থেকে সিএনজিযোগে ওই ছাত্রী বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় রামদয়াল বাজার এলাকায় পৌঁছালে এনাম ও তার সহযোগীরা সিএনজির গতিরোধ করে। একপর্যায়ে সিএনজি চালক জাফর আহমেদকে মারধর করে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে চারজনের নামে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই ছাত্রীর পরিবার থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এতে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত এনামকে। সোনারগাঁ থানা পুলিশ এ অভিযানে সহযোগিতা করেছে।
রামগতি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্বাস হোসেন বলেন, এনামের গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছি। তার ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রামগতি থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, দ্রুত সময়ে মধ্যে আমরা ভিকটিমকে উদ্ধার ও প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত এনামকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন