সাতক্ষীরার সুন্দরবন নিকটবর্তী পল্লীতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ এবং নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ জুন) পোড়াকাটলা এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শহীদুল ইসলাম আবীর ওরফে আবিয়ার রহমান (৫০)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
শ্যামনগর থানার ওসি নুরুল ইসলাম বাদল জানান, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়মিত উৎপাতের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন আবিয়ার রহমান। এ সময় তিনি তার সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখেন। সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে তিনি নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করান ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমান। এ ঘটনা জানাজানির পর মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে আবিয়ার রহমান তাতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক মো. শাখায়েতুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর নানি বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে সোমবার (১২ জুন) শ্যামনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। সেই মামলায় আবিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শাখায়েতুল ইসলাম আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন