পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বান্ধবীসহ ঘুরতে গিয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আত্মসম্মান বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে এক কিশোরী।
এই ঘটনায় বুধবার (৪ আগস্ট) কিশোরীর নানা সামছুল আলম বাদী হয়ে আলমগীর হোসেনসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে দেবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন : মেয়েকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বাবার মৃত্যু
এর আগে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দেবীগঞ্জ পৌর সদরের ময়নামতি চরে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী পৌর সদরের বোর্ডিংপাড়া এলাকার বাসিন্দা। লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বিকেলে ওই কিশোরী তার বান্ধবীসহ ময়নামতি চরে ঘুরতে যায়। একপর্যায়ে আলমগীর হোসেনসহ আরও ছয় থেকে সাতজন যুবক সেখানে উপস্থিত হয়ে ওই দুই মেয়েকে লক্ষ্য করে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকে। ভুক্তভোগী কিশোরী এই সময় প্রতিবাদ জানালে আলমগীর হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড় মারে। ওই কিশোরী এই সময় চড় আটকাতে গেলে তার হার ধরে আলমগীর হোসেন। শুধু তাই নয় একপর্যায়ে তার চুলের মুঠিও ধরে টানাটানি করে আলমগীর।
উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী কিশোরী নিজের আত্মসম্মান বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এই সময় তার সঙ্গে থাকা তার বান্ধবীও নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায় এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
উল্লেখ্য, আলমগীর হোসেন একই এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে। এর আগেও বিভিন্ন সময় আলমগীর হোসেনকে নিয়ে এলাকায় বিচার সালিশ করা হয় বলে অভিযোগ আছে।
কিশোরীর মা জানায়, ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে সব সময় আতঙ্কে রয়েছে। সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতেও পারছে না। আমি দোষীদের শাস্তি চাই, যেন আর কোনো মেয়ের অবস্থা আমার মেয়ের মতো না হয়।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন