কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ইটভাটা শ্রমিক বিলকিস বেগমকে হত্যার দায়ে সুজন মিয়া নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার (৬ আগস্ট) রাতে করিমগঞ্জ থানায় নিহতের ছেলে মাসুম মিয়া বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন : টাকার জন্য নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে
করিমগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম সিদ্দিকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামে রোববার দুপুরে পাওনা টাকার জন্য ঘর থেকে ধরে এনে প্রকাশ্য রাস্তায় ওই নারীকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে আওয়ামী লীগ নেতা নূর আলম ও তার ভাই সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে।
নিহত বিলকিস (৪০) ইটভাটা শ্রমিক আবদুল করিমের স্ত্রী এবং গ্রামের মৃত মুর্শিদ মিয়ার মেয়ে। তার পরিবারের সবাই একটি ইটভাটায় কাজ করত। ইটখলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসেন। আওয়ামী লীগ নেতা নূরে আলম ও তার ভাই সুজন মিয়া বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহ করেন। বিলকিস বেগমের স্বামী আবদুল করিম গত বছর সুজনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাদন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা পরিশোধও করেন তিনি। বাকি ৬০ হাজার টাকা তারা পরিশোধ করতে পারছিলেন না।
এই টাকার জন্য রোববার দুপুরে নূরে আলম বিলকিসের বাড়িতে যান। তখন বিলকিসের স্বামী আবদুল করিম বাড়ি ছিলেন না। পাওনা টাকা নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে নূরে আলম ক্ষিপ্ত হয়ে বিলকিস আক্তারকে ঘর থেকে বের করে রাস্তায় নিয়ে পিটিয়ে আহত করে। মারপিটে ওই নারী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন