ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নে জিকে সেচ প্রকল্পের খালের একটি ব্রিজ গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ভেঙে পড়ে আছে। হাটফাজিলপুর-নিত্যানন্দনপুর সড়কের হাটফাজিলপুরের গোলক নগরে ব্রিজটির অবস্থান। হাটফাজিলপুর থেকে নিত্যানন্দপুর বাওড় এলাকায় যাতায়াতে খালের একমাত্র সড়কে এই ভাঙ্গাচোরা ব্রিজটি অবস্থিত।
শৈলকুপা উপজেলা ঝিনাইদহের সবচেয়ে জনবহুল ও বৃহৎ একটি ব্যবসা কেন্দ্র। এই উপজেলার চারিদিক থেকে কুষ্টিয়া, মাগুরা, রাজবাড়ি ও ঝিনাইদহের সংযোগ রয়েছে। এর মাঝে হাটফাজিলপুর সবচেয়ে ব্যস্ততম এবং বৃহত্তর একটি বাজার। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলার মানুষ ব্যবসা-বানিজ্যসহ নিত্য প্রয়োজনে এই উপজেলার ফাজিলপুর বাজারসহ গোলক নগর হয়ে যাতায়াত করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মানুষের চলাচলে মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ব্রিজটি। তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ থেকে ১৫ বছর এই ব্রিজটির মাঝখানের অংশ ভেঙে যাওয়া ও রেলিং না থাকায় পথচারীসহ যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায়ই দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
এই ব্রিজের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ২০ গ্রামের কমপক্ষে ৫০ হাজার লোকজন চলাচল করে থাকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ হওয়া স্বত্বেও দিনের পর দিন সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ, সেই স্বাস্থ্য সহকারী বদলি
শৈলকুপার আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, জিকে (গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ) খালের ওপর অবস্থিত এই ব্রিজটি ১২-১৫ বছর সংস্কার হয়নি। ফলে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজ চলাচলের সম্পুর্ণ অনুপযোগী হয়ে গেছে।
বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী বিকর্ণ সাহা বলেন, এই ব্রিজের ব্যাপারে জিকে আইপি প্রজেক্টে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মাগুরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়ার সমন্বয়ে জিকেআইপির একটি নতুন প্রজেক্টে আমরা প্রস্তাবনা রেখেছি। অচিরেই ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। এছাড়াও শৈলকুপা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমেও কাজটি করার জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানান এই উপসহকারী প্রকৌশলী।
মন্তব্য করুন