কয়রায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন ১০০টি পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২২ হাজার ১০১টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিলসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১২ জেলার সকল উপজেলাসহ ১২৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
এর মাধ্যমে দেশের ৩৩৪টি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হলো। এ পর্যন্ত প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪১ লাখ ৪৮ হাজার মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছেন।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ‘বারাসাত সোনার বাংলা পল্লী’ প্রান্তে যুক্ত হয়ে আশ্রায়ণ প্রকল্প,পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ প্রকল্প ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানউল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় সারা দেশের সকল উপজেলার মতো কয়রা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে ভিডিও প্রজেক্ট মাধ্যমে উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত থাকেন। এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে কয়রা উপজেলায় ১০০টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় কয়রা উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মমিনুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আমিনুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিক-উজ-জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, সমাজসেবা কর্মকর্তা অনাথ কুমার বিশ্বাস, উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন, নির্বাচন অফিসার হযরত আলী, সমবায় অফিসার তানভীর মাসুদুল হাসান, কয়রা পল্লী বিদ্যুৎ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এম মো. কায়ছার রেজাসহ উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার দেখানো পথেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনবান্ধব কর্মসূচি হাতে নেন। ১৯৯৭ সালে তিনি কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহীত হয় ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’।
মন্তব্য করুন