দলের প্রয়োজন হলে নিজের আমেরিকার ভিসা সাংবাদিক ডেকে পুড়িয়ে দিতে চান নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা।
বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, আমারও আমেরিকার ভিসা আছে। দলের প্রয়োজনে যদি মনে করি, সাংবাদিক ডেকে সেই ভিসা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেব। কারণ কানাডার আদালতে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল বিএনপির জন্য বিবৃতি দেয় আমেরিকা। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তারা কোনো কথা বলে না। তাদের (আমেরিকা) একটাই নীতি- ‘যারে দেখতে পারি না তার চলন বাঁকা।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, যে নেতা ১৪ বছর কারগার থেকে কারাগারে দিন কাটিয়েছেন, যে নেতা তিনবার ফাঁসির কাষ্ঠে গিয়েও বাঙালি জাতির জয়গান গেয়েছেন, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাকে এবং তার দলের কর্মীদেরকে কেউ ভিসানীতির ভয় দেখিয়ে, রক্তচক্ষু দেখিয়ে কিংবা কেউ আগুন সন্ত্রাস করে দমাতে পারবে না।
কাদের মির্জা বলেন, বিএনপির আন্দোলন কাদায় আটকে গেছে। তারা ২৯ জুলাই আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আবার অ-আ থেকে শুরু করেছে। ও-ঔ পর্যন্ত যেতে যেতে দেশে নির্বাচন হয়ে যাবে। তাদেরকে (বিএনপি) নিয়ে চিন্তা করার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি টাকার বাহাদুরি দেখান? দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা আপনাকে টাকা দেয়। এবার আপনাদেরকে নির্বাচনে আসতেই হবে। কারণ আপনি যে হারে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন, এতে নির্বাচনে না গেলে ওদের টাকাও ফেরত দেবেন না। ফলে মনোনয়ন না পেলে ওই নেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। তখন মুসলিম লীগে পরিণত হবে বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে কাদের মির্জা বলেন, আগস্ট মাসে আট বিভাগীয় শহরে আপনার নেতৃত্বে আটটি শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিসহ সুশীল সমাজ বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করবে। যার প্রতিপাদ্য হবে 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ'। এতে দলের ভিত আরও মজবুত হবে। সামনের নির্বাচনে দল হবে শক্তিশালী।
মন্ত্রী-এমপিদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিছু কিছু মন্ত্রী-এমপি আছে যারা এলাকায় যান না। দলের তৃণমূলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। নিজের এলাকায় কত টাকার উন্নয়ন হয়েছে সেটাও জানে না। তারা মনোনয়ন পেতে ঢাকায় ঘুরঘুর করছে। এ ধরনের এমপিদেরকে মনোনয়ন দেওয়া ঠিক হবে না।
কাদের মির্জা বলেন, অনেকে বিদেশ থেকে হঠাৎ করে এসে মনোনয়ন পায়। যাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগাযোগ নেই। তাদেরকে এভাবে মনোনয়ন না দিয়ে ১০টি আসন প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত করার প্রস্তাব করছি। অন্যদিকে যে আসনে যাকে পছন্দ তাকে তাকে এখনই সিগন্যাল দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তিনি। যাতে এখন থেকে কাজ করতে সুবিধা হয়।
এ ছাড়া নেতাদের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য প্রত্যেক জেলায় এক বা দুইজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার অনুরোধও করেন তিনি।
মন্তব্য করুন