ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার ২ সাংবাদিক

এক সাংবাদিককে হেনস্তা করছেন স্থানীয় লোকজন। ছবি : সংগৃহীত
এক সাংবাদিককে হেনস্তা করছেন স্থানীয় লোকজন। ছবি : সংগৃহীত

ফরিদপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহকালে দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। প্রায় দুই ঘণ্টা তাদের জিম্মি করে রাখে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় সাংবাদিক ও পুলিশের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুই সাংবাদিক হলেন- আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হাসান মাতুব্বর (শ্রাবণ) ও দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি মো. তাওহীদুল ইসলাম।

জানা গেছে, হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকার বাসিন্দা ও ফরিদপুর চিনিকলের সিডিএ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, তার ভাই মাইক্রোবাসচালক রানা মোল্যা, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান হোসেনসহ অজ্ঞাত ১০/১২ ব্যক্তি।

আহত সাংবাদিক শ্রাবণ বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুর শহরে এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে সিডিএ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। ওই সময় তাকে মারধরও করা হয়। পরবর্তীতে ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওটি আমার কাছে আসে। তখন বিষয়টি জানার জন্য ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তখন দাবি করেছিলেন, তিনি একটি ব্ল্যাকমেইল চক্রের ফাঁদে পড়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে ফোনে বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করে সরাসরি কথা বলতে অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল চক্রের তথ্য সম্পর্কে জানতে ও তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত জানতে আমরা যোগাযোগ করে মধুখালীতে যাই।

আহত সাংবাদিক আরও বলেন, কথা বলাকালীন হঠাৎ তার স্ত্রী জানতে চায়, আমাদের ভিডিও কে দিয়েছে, কোথায় আমরা ভিডিও পেয়েছি। বিষয়টি গোপনীয়তার কারণে আমরা এড়িয়ে গেলে তখন তিনি দাবি করে বসে, আমরাই ওই ব্ল্যাকমেইল চক্র। ওই মুহূর্তেই ১০/১২ জন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের মোবাইল, ক্যামেরা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং টানাহেঁচড়া করে মারধর শুরু করে। এরপরই রাস্তা থেকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে আমাদের প্রায় ২ ঘণ্টা জিম্মি করে রাখে। এ ছাড়া মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। পরে আমাদের সাংবাদিক নেতারা ও প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধার হই। ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মামলা করা হবে।

মধুখালী থানার ওসি এসএম নুরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে। তবে, এখন পর্যন্ত ওই সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রাক্তনের পাশে বসে বর্তমান প্রেমিকার নামে পূজা

৫ আগস্টের পর থেকে অপুর সঙ্গে যোগাযোগ নেই : উপদেষ্টা আসিফ

কক্সবাজার ইস্যুতে ‘গরম’ ছিল এনসিপির সাধারণ সভা 

সিলেটে পাথর লুটের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

‘মৃত ভোটারদের’ সঙ্গে চা পান করলেন রাহুল গান্ধী

টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস, সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়

সাঈদীকে নিয়ে জামায়াত আমিরের বিবৃতি

ট্রেন আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার প্রশ্ন

গাজীপুরে এক বছরে বন্ধ ১০৬ কারখানা, অপরাধে জড়াচ্ছেন বেকার শ্রমিকরা

১০

সুপার কাপে নাটকীয় জয়ের পরও হতাশ পিএসজি কোচ

১১

ভারত যেন মুখোমুখি না হয় পাকিস্তানের—সাবেক পাক ক্রিকেটারের প্রার্থনা

১২

প্রধান বিচারপতির বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত

১৩

রাশিয়া / উদ্যান রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয়রা

১৪

হলিউডে অভিনয় করবেন জাহিদ হাসান?

১৫

সেপটিক ট্যাংকের শাটার খুলতে গিয়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

১৬

দুদকের অভিযানের পরে নড়েচড়ে বসেছে সিলেটের প্রশাসন

১৭

‘অপুকে নির্যাতন করে উপদেষ্টার নাম বলানো হয়েছে’

১৮

হাসপাতালে হিরো আলম

১৯

‘আসছে পানি ভাসছে মানুষ’, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

২০
X