সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে ১৯ দিন পার হয়েছে। এখনও বরাদ্দের সব চাল পাননি বরগুনার তালতলী উপজেলার জেলেরা। এ নিয়ে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল।
এ উপজেলায় সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ৮ হাজার ২০০ জন। এর মধ্যে সাগরে মাছ ধরেন ৫ হাজার ২০০ জন জেলে।
এসব জেলেদের জন্য ভিজিএফের মাধ্যমে ৮৬ কেজি করে চাল বরাদ্দ করে সরকার। প্রথম কিস্তিতে ৫৬ কেজি চাল পেলেও বাকি ৩০ কেজি চাল এখনও দেওয়া হয়নি।
এদিকে অবরোধ শেষ হলেও সাগর উত্তাল থাকায় পুরোদমে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না উপকূলীয় এলাকার অন্তত পাঁচ শতাধিক জেলে। যারা গিয়েছেন তাদের অনেকেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে মাছ না পেয়ে তারাও হতাশ।
এ পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি বরাদ্দের বাকি চাল পেলে জীবনযাপন সহজ হতো বলে দাবি জেলেদের।
ফকিরহাট জেলে পল্লীর আবু জাফর বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় দুই দিনের ভেতরেই ফিরে আসতে হয়েছে। অবরোধের সব চাল এখনও পাইনি। এতে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটছে।’
নিদ্রা জেলে পল্লীর মো. পনু বলেন, ‘দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা চলার সময় সাগরে গিয়ে মাছ ধরতে পারিনি। এ জন্য প্রথমবার ৫৬ কেজি চাল পেয়েছি। এখন সন্তানদের নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। বাকি ৩০ কেজি চাল পেলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘এখনও ডিও লেটার পাইনি। ডিও লেটার পেলে দ্রুত চাল বিতরণ করা হবে।’
পচাঁকোড়ালিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা জেলেদের ৫৬ কেজি চাল বিতরণ করেছি। তবে একসঙ্গে সব চাল দিলে ভালো হয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘চেয়ারম্যানদের চাল বিতরণ করার জন্য ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তারা বিতরণ করতে পারেনি।’
মন্তব্য করুন