কিশোরগঞ্জের ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের আকবরনগর বাসস্ট্যান্ড ও বাজারের একক নামকরণকে কেন্দ্র করে মিরারচর ও আকবর নগর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুপক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। ওই সংঘর্ষে নারীরাও ঘরে বসে নেই। হাঁটু পানি ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারাও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আকবরনগর বাসস্ট্যান্ডের নামকরণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার (১২আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আকবরনগর ও মিরারচর গ্রামবাসী লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ২৫ জনের বেশি আহত হয়েছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। সংঘর্ষের সময় দুটি খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং বেশকিছু ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ করেন আকবর নগরের গ্রামবাসী।
এদিকে মিরারচর গ্রামবাসী জানান, বাসস্ট্যান্ডে এলে কিছুদিন পরপরই আকবর নগরের লোকজন আমাদের লোকজনকে মারধর করেন। বাসস্ট্যান্ড ও বাজারের নাম নিয়ে গতকাল রাত থেকেই থমথমে অবস্থা ছিল। আজ সকালে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। আমরা চাই বাসস্ট্যান্ড ও বাজারের নাম আকবর নগরের নামে না হয়ে যেন আকবর নগর-মিরারচর দুই গ্রামের নামে করা হয়।
খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলমের নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ওই এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কালিকাপ্রসাদ ইউপির চেয়ারম্যান মো. লিটন মিয়া বলেন, আকবর নগর বাসস্ট্যান্ড নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন