মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর বন্দোবস্তের জমির দখল পেলেন আয়েশা

আয়েশা আক্তারকে বন্দোবস্তের জমির দখল বুঝিয়ে দিচ্ছেন ভূমি কর্মকর্তারা। ছবি : কালবেলা
আয়েশা আক্তারকে বন্দোবস্তের জমির দখল বুঝিয়ে দিচ্ছেন ভূমি কর্মকর্তারা। ছবি : কালবেলা

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর হবিগঞ্জের মাধবপুরে দীর্ঘদিন থেকে বেদখলে থাকা বন্দোবস্তের জমির দখল পেলেন হতদরিদ্র আয়েশা বেগম।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি টিম ওই জমি অনুসন্ধান করে ভুক্তভোগী আয়েশা আক্তারকে হস্তান্তর করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. জুনায়েদ আহমেদ, মনতলা ভূমি অফিসের তহশিলদার মুজিবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন।

এর আগে গত ৮ অক্টোবর কালবেলায় ‘জমিটুকুনের পাচ্ছি না দখল, ঘরের ওপর গাছ দিচ্ছে মৃত্যুর টহল’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার হলে বিষয়টি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে অফিসিয়াল প্রক্রিয়া শেষে জেলা প্রশাসক মাধবপুর উপজেলা ভূমি অফিসকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

দীর্ঘ ৫ বছর পর হলেও বন্দোবস্তের জমির দখল পেয়ে আনন্দে আত্মহারা আয়েশা বেগম। তিনি উপজেলার বহরা ইউপির উত্তর উত্তরশিক গ্রামের আইয়ুব খান মোড়ের বাসিন্দা।

আয়েশা বেগম কালবেলাকে বলেন, পত্রিকাটিতে সর্বপ্রথম আমার ছবিসহ নিউজ প্রচার হয়। আমি পত্রিকাটি ও এর সাংবাদিক ভাইয়ের জন্য দোয়া করি। অর্ধযুগ পরে হলেও আমি আমার জমির দখল পেয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার ঘরের ওপর বিপদজ্জনক একটি সরকারি মরা গাছ অপসারণ করার প্রতিকার পাচ্ছি না। আমি আশা করি এ বিষয়েও প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন কালবেলাকে বলেন, আজ আয়েশা বেগমের বন্দোবস্তের ভূমিটুকু উদ্ধার হয়েছে। আমরা জনপ্রতিনিধিরাও পাপমুক্ত হলাম। আমরা সবাই মিলে চাইছিলাম এটি উদ্ধার হোক। মহিলাটির অনেক বড় উপকার হলো আজ।

ভূমি অফিসে তহশিলদার মুজিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমরা আগে থেকেই বিষয়টি জানতাম। তবে আমরা সরাসরি দখল উদ্ধারের এখতিয়ার রাখি না। এবার সরাসরি জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা আসায় আমরা মহিলাকে ওই জমিটুকুর দখলনামাসহ দখল বুঝিয়ে দিয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ, আজই আবেদন করুন

রাজনীতিতে শিষ্টাচার-শুদ্ধাচারের আবশ্যকতা 

‘ফকিন্নির বাচ্চা’ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন রুমিন ফারহানা

সৌম্যদের অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন মোহাম্মদ মিঠুন

স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় হোতাসহ গ্রেপ্তার ৭

বিদ্রোহী কবির মৃত্যুবার্ষিকী / ‘বিদ্রোহী কবি’, ‘প্রেমের কবি’, ‘সাম্যের কবি’র প্রতি রইল অকৃত্রিম শ্রদ্ধা 

ফোনের টাচ স্ক্রিন কাজ করছে না? চেষ্টা করুন এই ৬ উপায়

অতিরিক্ত শুল্কের চাপে বন্ধ হচ্ছে ভারতের বড় শহরের পোশাক উৎপাদন

ভক্তদের সঙ্গে নামের অক্ষর খেলায় মেতেছেন মেহজাবীন

নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন ইসির, যে কোনো সময় প্রকাশ

১০

‘স্যার সময়মতো ক্লাসে আসেন না’ বলায় ৩৩ ছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক

১১

চাকরির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে

১২

টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টি হতে পারে যেসব এলাকায়

১৩

বয়স বাড়লেও ব্রেন ঝকঝকে রাখার ৪ উপদেশ নিউরোলজিস্টদের

১৪

ফজলুর রহমানের বক্তব্যের কারণে দল বিব্রত : প্রিন্স

১৫

শুল্ক কার্যকর হলো আজ, কীভাবে সামলাবেন মোদি?

১৬

শিক্ষার্থীদের পুলিশের ধাওয়া, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

১৭

আবারও নিষিদ্ধ হতে পারে ভারতের ফুটবল

১৮

ডানা মেলেছে স্বপ্নের পাঁচপুকুরিয়া সেতু

১৯

সীমান্তে ১১ বাংলাদেশিকে বিএসএফের পুশইন

২০
X