বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২
ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধনু নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে ২০০ বসতভিটা

এরশাদ নগরে কয়েক একর আবাদি জমি ভাঙনের কবলে পড়েছে। ছবি : কালবেলা
এরশাদ নগরে কয়েক একর আবাদি জমি ভাঙনের কবলে পড়েছে। ছবি : কালবেলা

কিশোরগঞ্জে ধনু নদী দিন দিনই ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে। সকাল-সন্ধ্যা নদীভাঙনে এখন দুই হাজার মানুষের ২০০ বসতভিটাসহ বনবাঙ্গা সরকারি আবাসন প্রকল্পকে হুমকির মুখে ফেলেছে। জরুরি স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামী কয়েক বছরে ইটনা উপজেলার এরশাদ নগর গ্রাম এবং সরকারি আবাসন প্রকল্পের ১৬টি ঘর বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এরশাদ নগর গ্রামের প্রায় কয়েক একর আবাদি জমি ভাঙতে ভাঙতে এখন গ্রামে এসে লেগেছে। ইতিমধ্যে কিছু বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীভাঙন এখন এলাকাবাসীর কাছে আতঙ্ক।

স্থানীয়রা জানান, নদীভাঙন কয়েক বছর ধরেই তীব্র আকার ধারণ করেছে। জরুরি ভিত্তিতে গ্রামের সামনে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।

এরশাদ নগরের মো. ফুল মিয়া জানান, কয়েক বছর ধরে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এত দিন ফসলের জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে এখন বাড়ির সামনে এসেছে। জরুরি ভিত্তিতে গ্রাম প্রতিরক্ষার স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাড়িঘর নদীতে বিলীন হবে। চাঁন মিয়া নামে আরেকজন জানান, নদী ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির কাছে আসতেছে। সরকারের কাছে আবেদন অতিদ্রুত যেন নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সরকারি আবাসন প্রকল্পের কুলসুম জানান, সরকার ভূমিহীনদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়েছে এখন বাড়িঘর নিয়ে চিন্তায় আছি। দিন দিনই নদী ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির সামনে আসতেছে। তাড়াতাড়ি সরকার ব্যবস্থা নিলে আমাদের রক্ষা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ইটনা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামকে নদীভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য স্থায়ী গ্রাম প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার হয়েছে। ইতিমধ্যে সদর ইউনিয়নের বড় বাজার জেটি ঘাট থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত এবং এলংজুরী ইউনিয়নে গ্রাম প্রতিরক্ষা স্থায়ী ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম জানান, এরশাদ নগর গ্রামের নদীভাঙনের বিষয়ে উপসহকারী প্রকৌশলীর মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে বরাদ্দ চাওয়া হবে এবং বরাদ্দ প্রাপ্তির সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইলিয়াস কাঞ্চনের অসুস্থতায় শাবনূরের আবেগঘন বার্তা

যুদ্ধের উসকানি দিয়ে শান্তির প্রতীক হওয়া যায় না, ট্রাম্পকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাবার সঙ্গে আলোর শেষ কথা—আমরা আটকে গেছি

লাইভে এসে সংসদ ভেঙে দিলেন পালিয়ে যাওয়া মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থীকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

মেসি নন, নতুনদের নিয়েই পুয়ের্তো রিকোর মুখোমুখি আর্জেন্টিনা

বিএনপি কোনো দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায় না : কফিল উদ্দিন 

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি

পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে : পরওয়ার

১০

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : লায়ন ফারুক

১১

ভারতের হারে এশিয়ান কাপ খেলার স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের

১২

সাবেক স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

১৩

পর্তুগালসহ যেসব দল আজ নিশ্চিত করতে পারে বিশ্বকাপের টিকিট!

১৪

এক দিনের ব্যবধানে দেশে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল

১৫

সুস্থ থাকতে খেলাধুলার বিকল্প নেই : মেয়র ডা. শাহাদাত

১৬

ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ায় প্রতিবন্ধীর প্রতিবাদ

১৭

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মিরাজদের সামনে বিশাল লক্ষ্য

১৮

চাকসুতে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ

১৯

গুমের শিকার পরিবারগুলোর মানববন্ধন / স্বজনদের ফেরত দিন, না পারলে জড়িতদের বিচার করুন

২০
X