নেত্রকোনার কেন্দুয়াতে টানা কয়েক সপ্তাহের তীব্র খরার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে পুরোদমে রোপা আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। জমিতে চাষ, আগাছা পরিষ্কার, পানি দেওয়া, সার দেওয়াসহ কাজে ব্যস্ত কৃষকরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষায় সেচবিহীন কম খরছে আমন ধান চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। সময়মতো বৃষ্টির হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জমিতে রোপা আমন রোপণ শুরু করে দিয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে পৌর এলাকাসহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে হাজার ২০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের পূর্বরায় গ্রামের কৃষক মুকুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে তিনি ১ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করবেন। বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন। বৃষ্টিতে আশীর্বাদে সময়মতো ধান লাগাতে পেরে দারুণ খুশি তিনি। তা ছাড়া কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসেবে সার পেয়েছি।
খালিজুড়া গ্রামের কৃষক শহিদ মিয়া ও সোহেল মিয়া বলেন, বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে আমরা আমন চাষ করে থাকি। অনেক দিন পর এই বৃষ্টির নাগাল পেয়েছি। আমাদের সাড়ে ৩ একর জমিতে বৃষ্টির পানি জমেছে। আমন ধান চারা রোপণের উপযোগী করে জমি চাষ শেষে চারা রোপণের কাজ করছি। আশা করছি, এ বছর লাভের মুখ দেখতে পারব।
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বলেন, এ বছর ২০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রণোদনা হিসেবে ১০০ জন কৃষকের মধ্যে ২ কেজি করে আমন ধানের হাইব্রিড বীজ এবং ১ হাজার কৃষকের মধ্যে ৫ কেজি করে হাইব্রিড ধানের বীজ এবং ২০ কেজি করে সার দেওয়া হয়েছে। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন লাগাতে পারেননি অনেক কৃষক। তবে বৃষ্টি একটু দেরিতে হলেও আষাঢ়ের শেষ থেকে শ্রাবণ মাসে আমন রোপণের উপযুক্ত। এখন ভাদ্র মাস চলছে এই মাসের আমন রোপণ শেষ করতে হবে। এখন আর কৃষকের সেই সমস্যা নেই। আশা করি, আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
তিনি আরও বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতে প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
মন্তব্য করুন