আন্তঃজেলা অজ্ঞান পাটির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাইকগাছা থানা পুলিশ। তারা খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে চালককে অজ্ঞান করে অটোরিকশা চুরি করতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভোরে ডুমুরিয়া উপজেলার চর ডুমুরিয়া এলাকা থেকে আনোয়ার ঢালী (৩৪) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার বাসিন্দা।
তার দেওয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা থেকে দুটি চোরাই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৯ আগস্ট কয়রা থানার অর্জুনপুর গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক নুর ইসলামকে (৪৫) অজ্ঞান করে অটোরিকশা চুরি করা হয়। এ ঘটনায় নুর ইসলাম বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা করেন।
নুর ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন একটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে আমাকে কল করে কয়রার জাইগীর মহল হাসপাতালে যেতে বলা হয়। আমি সেখানে গেলে একজন লোক আমাকে খাবার খাওয়ান। এরপর আমি অটোরিকশার ভেতরে ঘুমিয়ে পড়ি। পরে আমাকে পাইকগাছা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে ফেলে রেখে অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি ওই মোবাইল নম্বরটি পাইকগাছা থানা পুলিশকে দেই।’
পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় খুলনা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) ও পাইকগাছা থানার উপপরিদর্শক তাকবির হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া অপর তিনজন হলেন খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার আলামিন কোঠালি (২৪), একই এলাকার আসাদুল ইসলাম (২৪) ও কয়রা থানার ৪ নম্বর কয়রার আব্দুস ছালাম মোল্যা (৫১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাইকগাছা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অজ্ঞান পাটির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকচালকদের খাবারের সঙ্গে অজ্ঞান করার ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের আরও সদস্য রয়েছেন। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
মন্তব্য করুন