কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মৌলভীবাজারে কুদালিছড়া-ডুপাবিল খাল পুনর্খননে যত অনিয়ম

নকশা অনুযায়ী ব্রিজের দুইপাশে খালে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হয়ে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। ছবি : কালবেলা
নকশা অনুযায়ী ব্রিজের দুইপাশে খালে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হয়ে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। ছবি : কালবেলা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের কুদালিছড়া-ডুপাবিল খাল উন্নয়ন কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে ছড়ার খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সারা দেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কমলগঞ্জ এলজিইডির মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে কুদালিছড়া-ডুপাবিল খাল উন্নয়ন কাজ শুরু হয় গত ডিসেম্বর মাসে। প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করে মেসার্স ছামী ট্রেডার্স নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। খনন কাজের এলাকায় সাইনবোর্ড টানানোর কথা থাকলেও সে ধরনের কিছু দেখা যায়নি। ঠিকাদার কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনে ১ হাজার ২৫৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২ দশমিক ৫ মিটার প্রস্তের খাল খনন কাজটি নিজেদের মতো করে চালিয়ে যায়। কুদালিছড়ার ওপর নির্মিত কালভার্ট ব্রিজের মাটি সরিয়ে নেওয়ায় ব্রিজটি হুমকির মুখে পড়েছে।

নকশা অনুযায়ী ব্রিজের দুই পাশে খালে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খননের মাটি খালের পাড়ে রাখলেও অনেক স্থানে মাটি ধসে পড়েছে। খননকৃত খালের নিচে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট চওড়া রয়েছে। এ ছাড়া ১০ থেকে ১২ ফুট গভীর ও ওপরের চওড়া ২০ থেকে ২৫ ফুটের বেশি হবে না। সরকারি খাল খননের যে উদ্দেশ্যে বরাদ্দ হয়েছে, সে অনুযায়ী খনন হয়নি।

সঠিকভাবে খাল খনন না হলে চাষাবাদের মৌসুমে পলিমাটি নেমে ভরাট হয়ে যাবে এবং সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা এলাকাবাসীর কোনো উপকারে আসবে না। গ্রামের মবশ্বির আলী, আব্দুল মোমিন, আব্দুল গফুর ও আব্দুল কাদির বলেন, আমাদের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খাল খনন হলেও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। তা ছাড়া খালের দুই পাশে রোপিত গাছগুলোও মরে গেছে। বনবিষ্ণুপুর, রূপষপুর, রামেশ্বরপুর, পালজোয়ানসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ অল্প বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয়ে পড়েন। তাই খাল খননের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের যে ব্যবস্থা সেটি কোনো কাজে আসবে না।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স ছামী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুস শহীদ বলেন, ‘সিডিউল মোতাবেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। যারা অভিযোগ দিয়েছেন তাদের অভিযোগ সঠিক নয়।’

এ ব্যাপারে এলজিইডি কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল আজম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৫০ কেজি পাটের আঁশে তৈরি দুর্গা প্রতিমা

জামায়াত নেতার পদ স্থগিত

ডাকসু ও জাকসুর ভিপি-জিএসের কার বাড়ি কোথায়

স্ত্রীকে যেসব কথা না বললেই সম্পর্ক ভালো থাকে

এই প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড

একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে মাঠে নামার হুঁশিয়ারি সিপিবির

নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি : আমীর খসরু

চাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানের সময় বৃদ্ধি

হ্যান্ডশেক বিতর্কে ভারতীয় খেলোয়াড়দের দোষ দেখছেন না আফ্রিদি

১০

পরপর দুবার কামড়ালেই কুকুরের ‘যাবজ্জীবন’ কারাদণ্ড

১১

‘আমার লাশ চাচাতো ভাইয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েন’ 

১২

১০ টাকায় ইলিশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিপাকে রায়হান জামিল

১৩

স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে মেট্রোরেলের নতুন বার্তা

১৪

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, নদীপাড়ে আতঙ্ক

১৫

পূজায় কতদিনের বন্ধ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

১৬

পাকিস্তানের দাবিতে ‘নমনীয়’ আইসিসি!

১৭

বিএনপির তরুণ নেতা আরিফুজ্জামান মামুনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে

১৮

পপুলার ফার্মার অডিট বিভাগে চাকরির সুযোগ

১৯

আবুল খায়ের গ্রুপে বড় নিয়োগ

২০
X