পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে ওঠানামা করছে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় হিমশীতল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ ছিল, যা গতকাল সোমবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে কেটেছে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব। সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রমজীবীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে। শীতের মাত্রা কমে যাওয়ায় নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ বিভিন্ন প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ততা বেড়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, জানুয়ারি মাসের যে শীতের তীব্রতা ছিল তা ফেব্রুয়ারি মাসে কমে গেছে এই কয়েকদিনে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কনকনে শীত অনুভব হলেও সূর্য উঠে যাওয়ায় স্বস্তি মিলেছে। কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না।
তবে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ ছিল।
মন্তব্য করুন