সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বগুড়ায় ‘বিএনপি নেতার’ হামলায় আহত যুবদল নেতার মৃত্যু

যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান রাশেদ। ছবি : সংগৃহীত
যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান রাশেদ। ছবি : সংগৃহীত

বগুড়া সোনাতলায় বিএনপি নেতার হামলায় আহত যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান রাশেদ মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

রাশেদুল হাসান রাশেদ (২৭) উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের পাকুল্লা গ্রামের মো. ছাইফুল ইসলাম আকন্দের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পাকুল্লা বাজারে হামলার শিকার হন তিনি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে এলাকাবাসী তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালু, আরেক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জিএম আলী হাসান নারুন এবং অপর গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন বগুড়া শহর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান জুয়েল।

অপরদিকে শিক্ষার্থীরাও প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় যুবদল নেতা রাশেদ গুরুতর আহত হন।

এ বিষয়ে পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী হাসান নারুন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় যুবদল নেতা রাশেদ মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় পাকুল্লা বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান বাটালুর নেতৃত্বে তার লোকজন ধাওয়া করে। রাশেদ মোটরসাইকেল ফেলে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেই পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় তাকে।

এমএ হান্নান বাটালু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে অনেক বহিরাগত লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে আসে আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে। সে সময় জুয়েলের সঙ্গে যুবদল নেতা রাশেদ ছিল। সন্ধ্যায় কে বা কারা রাশেদকে মারধর করেছে তা আমার জানা নেই। একটি পক্ষ আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

সাবেক জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল বলেন, পাকুল্লা আমার গ্রামের বাড়ি। শুক্রবার গ্রামের মসজিদে ইমামতি করি। এরপর গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে আমাদের মোটরসাইকেল বহরে থাকা যুবদল নেতা মেহেদী হাসান হিরুকে বাটালুর লোকজন মারধর করে। ঘটনাটি সেখানেই মীমাংসা হয়ে যায়। আমি শহরে চলে আসার পর সন্ধ্যায় যুবদল নেতা রাশেদকে বাটালুর নেতৃত্বে মারধর করা হয়।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন নবী বলেন, পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন ধরে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সেই জেরেই রাশেদ নামের একজনকে মারধর করা হয়। মারধরে সে গুরুতর আহত হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এমপিও জালিয়াতির চেষ্টায় চার মাদ্রাসাপ্রধানকে শোকজ 

আপনাদের শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, নিজেদের সংশোধন করুন : ইশরাক

বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আমিনুল

প্রতিবেশীর ঘরে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ

নতুন নোটের ছবি প্রকাশ

৯ বছরের বড় নারীকে বিয়ে করছেন এই অভিনেতা 

বাজারে কবে আসছে নতুন নোট, জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক

ভারতের রাফাল ভূপাতিতে নড়েচড়ে বসল ফ্রান্সের সেনাবাহিনী

সচিবালয়ের কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকি

১০

সাগরে নিম্নচাপ, কলাপাড়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

১১

তাজউদ্দীন কলেজের নাম পরিবর্তন নিয়ে সোহেল তাজের স্ট্যাটাস

১২

‘বিষপান করা’ সেই চার জুলাই যোদ্ধাকে বিএনপির আর্থিক সহায়তা

১৩

লক্ষ্মীপুরে হত্যাসহ ২০ মামলার আসামি গ্রেপ্তার 

১৪

গাছের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা, রক্ষা পেল কালনী এক্সপ্রেস

১৫

ঢাবি সাদা দল  / ‘তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় প্রমাণিত হলো হাসিনার আমলের সকল মামলা মিথ্যা’

১৬

আমাদের শান্তিরক্ষীরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

১৭

নেতানিয়াহুকে ইরানে হামলা করতে না করেছি : ট্রাম্প

১৮

ভুল স্বীকার করলেন হান্নান মাসউদ 

১৯

সুব্রত বাইনকে ভারত থেকে পাঠানোর পেছনে রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার ছক!

২০
X