খুলনার পাইকগাছায় ভরা বর্ষা মৌসুমে উলুবুনিয়া নদীতে চায়না দুয়ারি বা চায়না জাল ব্যবহার করে মাছ ধরা হচ্ছে।
জলজপ্রাণীদের জন্য হুমকি নিষিদ্ধ এ জাল ব্যবহার করায় নদীর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন বাসিন্দারা। মাছ ছাড়াও এ জালের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ে জলজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য জলজপ্রাণী।
উলুবুনিয়া নদীর প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবৈধভাবে জাল পেতে মাছ ধরা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা বাজারের দিকের উলুবুনিয়া নদীতে চায়না জাল পেতে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে জাল পেতে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় সব ধরনের মাছ।
উলুবুনিয়া নদী গত দুই বছর আগে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়। এরপর এ নদীতে মাছের পোনা উন্মুক্ত করে উপজেলা মৎস্য অফিস। এতে নদীতে মাছের উৎপাদন বাড়তে শুরু করে।
কিন্তু চলতি বর্ষা মৌসুমে নদীতে কিছু অসাধু মাছ শিকারি চায়না দুয়ারি জাল পেতে রাখছেন। এতে মাছের পোনাসহ মা মাছ অবাধে ধরা পড়ছে।
সে সঙ্গে কাঁকড়া, কচ্ছপ, শামুক, ব্যাঙসহ অন্যান্য জলজপ্রাণী মারা পড়ছে। এ ছাড়া চায়না দুয়ারি জালের কারণে জোয়ার-ভাটার পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীর মুখে পলি জমায় ভরাট হওয়ারও শঙ্কা থাকছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কুমারেশ মন্ডল বলেন, ‘বারবার নিষেধ করার পরও কিছু অসাধু ব্যক্তি চায়না দুয়ারি জাল পেতে মাছ শিকার করছে। চায়না দুয়ারি জাল বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযানের দাবি জানাই।’
লতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য বিনতা রানী বিশ্বাস বলেন, ‘এ নদীটি সরকার লাখ লাখ টাকা খরচ করে খনন করেছে। মৎস্য অফিস থেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে। কিন্তু কিছু মানুষ সব মাছ মেরে খাচ্ছে। অচিরেই এটি বন্ধ হওয়া দরকার।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ বেগম বলেন, ‘চায়না দুয়ারি জাল পেতে মাছ শিকারের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি উপজেলা মৎস্য অফিসকে বিষটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিচ্ছি।’
মন্তব্য করুন