টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দেশের দীর্ঘতম রেলসেতুর উদ্বোধন

দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু
দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু ও ট্রেন । ছবি : কালবেলা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবেশেষে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম ‘যমুনা রেলসেতু’ উদ্বোধন করা হলো।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন এলাকায় পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সেতুটির উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল চলাচল আরও সহজ হবে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক এম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্ব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি এবং জাপানের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকার দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মহা-পরিচালক ইতো তেরুয়ুকি।

৫০টি পিলার আর ৪৯টি স্প্যানের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল প্রযুক্তির অবকাঠামোতে দাঁড়িয়ে থাকা ডাবল ট্র্যাকের সেতুটি শত বছরের স্থায়িত্বের অঙ্গীকারে মাথা উঁচু করে জানান দিচ্ছে বাংলাদেশর সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রার কথা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, যমুনা রেলসেতু দিয়ে ট্রেন পারাপারে আগের তুলনায় কম সময় লাগবে। এতে দুই পাড়েই সময় সাশ্রয় হবে। ডাবল লেনের সুবিধা পেতে হলে আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার তানভীরুল ইসলাম বলেন, রেল সেতুতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে রেল সেতুতে পরবর্তীতে রং করার প্রয়োজন হবে না। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সাথে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করবে।

এ ব্যাপারে ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শাহীন মিয়া কালবেলাকে বলেন, সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তবে উদ্বোধনের দিন থেকে প্রথম পর্যায়ে সেতু নিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।

১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের 

তুরস্কে মুসলিম দেশগুলোর মহাসম্মেলন, যোগ দিবেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে

রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইসি

মুক্তির আগেই ১৫০ কোটি টাকা আয় রাম চরণের সিনেমার

নির্বাচন নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি : সেনাসদর

চীন থেকে ইরানে একের পর এক রহস্যময় বিমান

শিল্পপতির ছেলেকে বিয়ে করছেন নায়িকা তানহা 

আলটিমেটাম দিলেন আন্দোলনরত সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা  

ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনে সিদ্ধান্ত হয়নি : আইন মন্ত্রণালয় 

১০

নরসিংদী জেলা বিএনপি নেতা জুয়েল গ্রেপ্তার

১১

ট্রাকের ধাক্কায় নিহত বিএনপি নেতা

১২

জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে দুস্থদের খাবার বিতরণ

১৩

ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়লেন শবনম ফারিয়া

১৪

ডোপিং কেলেঙ্কারিতে বড় নিষেধাজ্ঞার মুখে চেলসি তারকা

১৫

ইসরায়েলের হামলায় বেড়ে গেল তেলের দাম

১৬

জামায়াত আমিরের সঙ্গে জার্মান বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের বৈঠক 

১৭

পুলিশের চেকপোস্টে পিস্তল-গুলি ফেলে পালাল ‘দুর্বৃত্ত’

১৮

ডা. জুবাইদার জন্মদিন উপলক্ষে জবির নতুন ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ 

১৯

বিগত সরকার দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে : মঈন খান

২০
X