জামান মৃধা, ডিমলা (নীলফামারী)
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৬:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডিমলায় পানিবন্দি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০ পরিবার

নীলফামারীর ডিমলার ঝুনাগাছ চাপানীর ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে তিস্তার পানি। ছবি : কালবেলা
নীলফামারীর ডিমলার ঝুনাগাছ চাপানীর ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে তিস্তার পানি। ছবি : কালবেলা

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর পানি বেড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানীর ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০টি পরিবার কষ্টে রয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাওয়ার রাস্তায় কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও তার চেয়ে বেশি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রবেশের প্রধান ফটক অংশে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রবেশের গলিতেও পানি প্রায় হাঁটু সমান।

৪৯ নম্বর ঘরের মালিক জয়গুন বলেন, ‘খুব বন্যা হইলে আঙ্গর সমস্যা হয়। এটা তো সমাধান করা লাগব। বন্যায় আমার ঘরের পূর্ব পাশের মাটি ভাইঙ্গা গেছে। চেয়ারম্যান, মেম্বার কয়েকদিন আগে আইছিল, তারা দেইখা গেছে। কিন্তু কামের কাম তো কিছুই হয় না। সবাই দেইখা যায় কামের কাম কিছুই হয় না।’

৬ নম্বর ঘরের বাসিন্দা বাহার আলী বলেন, ‘বারান্দা পর্যন্ত পানি ওঠে। পাশের যে স্কুল ঘর আছে ওইখানেও পানি। সবাইকে বলি কিন্তু কোনো কাজ হয় না। শরমে আর কাউকে বলি না।’

৫ নম্বর ঘরের বাসিন্দা ফুলোরা বেগম বলেন, ‘পানি যখন উঠে তখন খাটের ওপরে উঠি। একটা খাট কিনছি, ওই খাটে লুকি থাকি। বন্যা আইলে খাওয়া-দাওয়ার কথা বাদ দেই। আর একটা সিমেন্টের চুলা আছে সেইটা খাটের ওপরে তুলি রান্না করি। এই বারসহ চারবার বান (বন্যা) আইলো। কিন্তু চেয়ারম্যান তো একটা বারও আইলো না, বানো (বাঁধা) দিলে না।’

৪৮ নম্বর ঘরের বাসিন্দা মশিয়ার রহমান বলেন, ‘বর্তমানে তো নদীর পানি কিবলে বাড়ছে রাতে পানি হাঁটুর ওপরে উঠবে। শুধু উঠানে নয়, বারান্দা ও রুমেও পানি ওঠে। একদিন তো রাত ৩টায় ঘুম থেকে উঠে দেখি জুতা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। রুমে পানি উঠেছিল বিছানা থেকেই পা ধুয়েছিলাম। সরকারের লোকজন যখন বাড়ি তৈরি করেছে, তখন আরেকটু উঁচু করলে পানি উঠত না। আর কয়েকটা বাড়ি ফাঁটল ধরেছে। অলিয়ার রহমান নামের একজন এসে কয়দিন পরপর এসে ঠিক করে দিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এদিকে সিমেন্টের চুলা বেশি। রান্না-বান্না বিছানায় উঠে করি। খাওয়া-দাওয়া বিছানায় করি। সবাই আসে আর দেখে, কেউ কাজ করে না।’

এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউপির চেয়ারম্যান একরামুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা ধরেননি।

ডিমলা উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মেজবাউর রহমান বলেন, ‘গত বন্যায় রাস্তাটি (আশ্রয়ণ প্রকল্পে ‍যাওয়ার রাস্তা) ভেঙে গেছে। কাবিখা প্রকল্পে রাস্তাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি তো এখানে নতুন এসেছি। আপনি যেখানকার কথা বলেছেন ওই স্থান মার্ক করতে পারছি না। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৭৪

‎ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ইলিশ রেখে পালালেন জেলেরা

টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের অবিশ্বাস্য রেকর্ড

ইউক্রেনের যাত্রীবাহী ট্রেনে রুশ ড্রোন হামলা, বহু হতাহত

মেহেরপুর উন্নয়নে এনসিপির ১৩ দফা ঘোষণা

নিজেই হোন নিজের প্রোডাক্টের সবচেয়ে বড় অ্যাম্বাসেডর

ট্রাম্পের প্রতিকৃতি খচিত মুদ্রা তৈরির পরিকল্পনা

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় চীন : শি জিনপিং

চোখের ৫ লক্ষণই বলে দেবে আপনার কিডনি কোন অবস্থায় আছে

ছাত্রদলে যোগ দিলেন শিবির নেতা

১০

যৌনকর্মীকে হোটেলে ডেকে ছিনতাই, সিঙ্গাপুরে দুই ভারতীয়র কারাদণ্ড

১১

মাল্টিমোড গ্রুপের নতুন লোগো ও ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন

১২

হানিট্র্যাপের শিকার সরকারি কর্মকর্তা, নারীসহ চার অপহরণকারী গ্রেপ্তার

১৩

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপোতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন সবুর খান

১৪

‘কৈফিয়ত’ দিলেন ফারুকী

১৫

নেট দুনিয়ায় কারা বেশি ছবি শেয়ার করেন, সুখী নাকি অসুখী দম্পতি?

১৬

বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ফারমার্স কার্ড করে দেওয়া হবে : টুকু

১৭

মানবপাচারবিরোধী পদক্ষেপ জোরদার করেছে বাংলাদেশ : মার্কিন রিপোর্ট

১৮

নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

১৯

ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা পড়া কীসের লক্ষণ?

২০
X