অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রভাবশালী এক উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে মিছিল করেছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ছাত্র-জনতা।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় উপজেলা সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন ও সাধারণ জনতার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে মুরাদনগরের নিরীহ মানুষকে পুলিশ দিয়ে মামলা ও গ্রেপ্তার এবং দুর্নীতির অভিযোগসহ আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে ওই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে মিছিলে বাধা দেয় মুরাদনগর থানা পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, ওসি জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে মিছিল থেকে ব্যানার কেড়ে নেয় পুলিশ। তারপরও বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি মুরাদনগর বাজার গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে সেখানে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-প্রতিনিধি নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, মো. রাফি, মীর আসিফ আব্দুল্লাহ, আহসান আহমেদ প্রমুখ।
নাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা আন্দোলন করেছিলাম বাক স্বাধীনতার জন্য, মুরাদনগরে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি না। বিতর্কিত উপদেষ্টা বিরুদ্ধে ঢাকায় কর্মসূচি হলেও কেউ বাধা দেয় না। তাহলে মুরাদনগরে পুলিশ কেন বাধা দিচ্ছে? আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ঢাকাতে আন্দোলন হলেও প্রশাসন কোনো বাধা দেয় না; কিন্তু মুরাদনগরের কেন বাধা, আসিফ মাহমুদের উপজেলা বলে? আমাদের আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে; কিন্তু কিছু কিছু উপদেষ্টা চেয়ারে বসে দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছেন। তারা শুধু ক্ষমা চাইলেই সবকিছু ঠিক হয়ে গেল, তাদের কোনো শাস্তি হলো না কেন?
নাহিদ আরও বলেন, আমরা তো অনেক দেশে দেখেছি মন্ত্রিত্ব থাকা অবস্থায় কেউ যদি ঠিকাদারির দায়িত্ব নেয় তাহলে তাদের মন্ত্রিত্বও বাতিল হয়ে যায়। ফেসবুকে পোস্ট করে ক্ষমা চাইলেই হয়ে যায়? ফেসবুকের পোস্ট তো হাসিনার আমলেও হয়েছে। এখন কি আর ওই বাংলাদেশ আছে।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা হামলা করেছে, উপদেষ্টার বাবা তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। সেই ভিডিও ফুটেজও আছে। ছাত্রদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় গিয়ে যে এমন দুর্নীতি করছে, সেসব দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই। তাদের পদত্যাগ করতেই হবে।
মিছিলে বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, মিছিল করতে দেওয়া হবে না। ওরা মিছিল করতে পারবে না। এভাবে মিছিল হয় না। কিন্তু মিছিল করতে না দেওয়ার কারণ কি, তা জানতে চাইলে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেননি ওসি।
মন্তব্য করুন