চট্টগ্রামের পটিয়ায় সরকারি জায়গা দখল করে এলাকার পানি নিষ্কাশনের পথে দেয়াল নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা দুই ভাই প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে ভবন করেছেন। এতে এলাকার পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাফেরা করেন।
রোববার (৪ মে) বেলা ১১টায় উপজেলার জিরি ইউনিয়নের উত্তর দেয়াং কোটরপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জিরি ইউনিয়নের উত্তর দেয়াং কোটরপাড়া এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি মৌজার একটি নালা আছে। সেটি মো. নেছার উদ্দিনের বাড়ির পাশে খাসজায়গার ওপর দিয়ে কর্ণফুলী নদী সংযুক্ত খালে পড়েছে। মো. নেছার উদ্দিন ও তার ভাই মো. আরিফ প্রভাব খাটিয়ে সেই জায়গায় নতুন ভবন করেছেন। ফলে পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকার ব্যবহৃত পানি নালা উপচে সড়কে উঠে আসছে। আট মাস ধরে এ অবস্থা এখানে। পানি মাড়িয়ে মসজিদে, বিদ্যালয়ে যেতে হয়। প্রতিবাদ করলে তারা মামলার হুমকি দেন। অনেকে মিথ্যা মামলার কারণে বাড়িতে আসতে পারছেন না।
সকালে নেছার উদ্দিনের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন কয়েকশ বাসিন্দা। তারা পানির মধ্যে দাঁড়িয়েই মানববন্ধন করেন। সেখানে তারা অবিলম্বে নালার ওপর থেকে স্থাপনা সরানোর দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা সুলাইমান, স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবু তালেব, আহমদ নূর, আলী আহমেদ, মো. বশীর, মহিউদ্দিন, সালাউদ্দিন, রোজিনা আক্তার, মর্জিনা বেগম প্রমুখ। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানি ও শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে গত ২৪ এপ্রিল পটিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দেন এলাকাবাসী। তাতে উল্লেখ করা হয়, মো. নেছার উদ্দিন পুলিশের সাবেক কনস্টেবল। তার ছোট ভাই মো. আরিফ চট্টগ্রাম বিভাগের একটি থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মানববন্ধনের বিষয়ে জানতে তাদের উভয়কে একাধিকবার ফোন করলেও তা রিসিভ হয়নি।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, এমন একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবন কুমার বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি এটি সার্ভে করবেন, কতটুকু জায়গায় সরকারি তালিকাভুক্ত। এটি যদি সরকারি খাস জায়গা হয়ে থাকে তাহলে মামলার মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে তা ভেঙে ফেলা হবে। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সব কর্মকাণ্ড শেষ করা সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন