মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ইজারাদারের চাঁদা দাবির প্রতিবাদে মুরগি ব্যবসায়ীরা দুই দিন ধরে বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সিঙ্গাইর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
উপজেলার শায়েস্তা ইউনিয়নের সাহরাইল বাজারে গত শনিবার থেকে এ ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় মুরগি ব্যবসায়ীরা। এদিকে অতিরিক্ত অর্থ দাবির বিষয়টি স্বীকার করলেও তা অভিযোগের চেয়ে কম চাওয়া হচ্ছে বলে দাবি সাহরাইল বাজারের ইজারাদারের।
রোববার (২৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, সাহরাইল বাজারে মুরগি ব্যবসায়ীরা মুরগি বিক্রি বন্ধ করে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। বাজারের ক্রেতারা মুরগি কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
প্রতিদিন গাড়িতে করে খামার থেকে মুরগি আসে সাহরাইল বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে। ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী পাইকারি দরে মুরগি কিনে খুচরা বিক্রি করেন।
গত শনিবার সাহরাইল বাজারের ইজারাদার আব্দুল জলিল প্রতিটি মুরগির গাড়ি থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ। মুরগি ব্যবসায়ীরা ২০০ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। পরে বাজারের মুরগি ব্যবসায়ীরা মুরগি বিক্রি বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করেন।
মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শনিবার হঠাৎ প্রতিটি মুরগির গাড়ি থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন বাজারের ইজারাদার আব্দুল জলিল। আমরা আমাদের ভাড়া নেওয়া দোকানে ব্যবসা করেও প্রতিদিন ইজারাদারকে ৪০ টাকা খাজনা দেই। আবার মুরগির গাড়ি প্রতি ২০০ টাকা কীভাবে দেব?’
মুরগি ব্যবসায়ী মো. আজিজুল বলেন, ‘মুরগির গাড়ি প্রতি ২০০ টাকা দিয়ে আমরা ব্যবসা করব কীভাবে। অতিরিক্ত অর্থ দাবির বিষয়টি অযৌক্তিক। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
আনসার আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘দুই দিন ধরে বাজারে এসে ঘুরে যাচ্ছি। মুরগি কিনতে পারছি না। বাজারের ইজারাদার ও মুরগি ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে বিরোধ চলছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।’
সাহরাইল বাজারের ইজাদার আব্দুল জলিল বলেন, ‘বাজারে যে টাকা খাজনা উঠে তা দিয়ে আমাদের চলে না। তাই মুরগি ব্যবসায়ীদের গাড়ি প্রতি ১০০ টাকা করে দিতে বলি। এ ছাড়া বাজারে মুরগির গাড়ি ঢুকলে যানজট লেগে যায়। এতে বাজার পরিচালনায় অসুবিধা হয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিপন দেবনাথ বলেন, ‘বিষয়টা আমি জেনেছি। খুব দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন