নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্বামীর সঙ্গে সংসার করার দাবিতে অনশন করেছেন সোনিয়া আক্তার (১৯) নামে এক নারী। মঙ্গলবার (০৭ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আড়াইহাজারের ভাটি গোবিন্দী এলাকায় ইমন মিয়ার বাড়িতে অনশনের ঘটনা ঘটে।
অনশনকারী সোনিয়া আক্তার আড়াইহাজারের ভাটি গোবিন্দী গ্রামের ইমন মিয়ার প্রথম স্ত্রী ও সোনারগাঁ উপজেলার রাউথগাঁও গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। ইমন মিয়া (২৫) ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সোনিয়া আক্তারকে (১৯) বিয়ে করেন ইমন মিয়া। বিয়ের পর তারা কিছুদিন ঢাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। পরে ইমন মিয়া সোনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং তাকে নিয়ে সংসার করতে অনিহা প্রকাশ করে।
এদিকে ইমন মিয়া সোনিয়াকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ খবর জানতে পেরে সোনিয়া তার স্বামীর সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১১ টা থেকে সোনিয়া তার মাকে নিয়ে স্বামী ইমন মিয়ার বাড়ির সামনে অনশনে বসেন। স্বামীর সঙ্গে সংসার করার দাবিতে তিনি অনশন শুরু করেন।
অনশনে বসা সোনিয়া আক্তার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইমেনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর থেকে কলেজে যাওয়ার পথে সে আমাকে বিরক্ত করতো। ইমন বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এতে আমি তার অভিভাবককে নিয়ে আসতে বলি। কিন্তু তার পরিবারের লোকজন রাজি ছিল না। পরে সে আমাকে নানাভাবে ম্যানেজ করে অন্যত্র নিয়ে বিয়ে করে। সেখানে আমরা কিছুদিন সংসার করি। এক পর্যায়ে আমার কাছ থেকে চলে এসে সে দ্বিতীয় বিয়ে করে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের কথা ইমন বার বার অস্বীকার করে আসছে। পরে খোঁজখবর নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে গেলে তারা আমাকে মারধর করে বের করে দেয়। এতে বাধ্য হয়ে স্বামীর সঙ্গে সংসার করার দাবিতে আজ অনশনে বসেছি। এখন তারা বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে টাকা দিয়ে আমাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে। তবে আমি টাকা চাই না, আমি স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চাই।
এ বিষয়ে ইমনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, অনশনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওই নারী নিজেকে প্রথম স্ত্রী দাবি করছে। সে সংসার করা দাবি নিয়ে অনশনে বসে। পরে তারা দুই পক্ষের অভিভাবকরা বসে বিষয়টি মিমাংসা করবে বলে আমাদের জানায়। তবে আমরা থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি। এখন তারা পারিবারিকভাবে সমস্যা সমাধান করলে ভালো। অন্যথায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন