আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৫, ০২:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হবিগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০

হবিগঞ্জে গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি : কালবেলা
হবিগঞ্জে গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি : কালবেলা

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ৮টা থেকে প্রায় ৯টা পর্যন্ত উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের দক্ষিণ আটপাড়া, জলসুখা হাটি, দক্ষিণ পাড়া, ইছবপুর, শঙ্খমহল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উল্লেখযোগ্য আহতরা হলেন- সাইকুল বেগম (৫০), জিয়া রহমান (৩৫), তকদির মিয়া (৪২), ইমন (২২), নাইম (২৪), সামিম (১৯), মছদ উল্লা (৬০), জয় (২০) মুসকুদ উল্লা (৫০) আলী নুর (১৪), ফয়সল (১৪)। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ববিরোধ ও গ্রামীণ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ডা. রেজাউল করিম, বর্তমান ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মিয়া, জহুর হোসেন গং ও ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু, সাবেক ইউপি সদস্য লিবাছ মিয়া ও রন্টি মিয়া গং-এর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

এর জেরে তাদের মধ্যে বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দশ দিন আগে ডা. রেজাউল করিমের ভাই সাবেক পুলিশ সদস্য জনি মিয়া, লিবাছ মিয়ার পক্ষের আজাদ মিয়ার পরিবারের একজনকে মারধর করেন। এরপর গত ৯ মে সকালে আজাদ মিয়ার লোকজন ডা. রেজাউল করিমকে মারধর করেন।

এরই জেরে সোমবার (১২ মে) বিকেলে ডা. রেজাউল করিমের পক্ষের জহুর হোসেন মিয়ার লোকজন লিবাছ মিয়ার পক্ষের আজাদ মিয়ার স্ত্রীকে মারধর করেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী পুরুষসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন।

ডা. রেজাউল করিম জানান, কিছুদিন আগে আমার ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করি। সোমবার ওই মামলায় পুলিশ আসামি ধরতে গ্রামে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের লোকজনকে মারধর করে। মঙ্গলবার সকালে আবারও তারা কয়েকজনকে তারা ধাওয়া করে। এর প্রতিবাদে গ্রামবাসীর একাংশ একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিহত করে। আমি মামলা দাযের করার পর থেকেই তাদের হুমকিতে আত্মগোপনে আছি।

ইউপি সদস্য লিবাছ মিয়া জানান, গতকাল জহুর হোসেন এবং ডা. রেজাউলের ভাই জনিসহ তাদের পরিবারের লোকজন আমাদের পক্ষের আজাদ মিয়ার স্ত্রীকে মারপিট করে। আজ সকালেও তারা আমাদের লোকজনদের মারার জন্য ধাওয়া করে। আমরা আমাদের লোকজনকে নিষেধ করেছি কোনো সংঘর্ষে না জড়াতে। তারপরও প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করলে আমরা আত্মরক্ষার্থে প্রতিহত করি৷ তারা আমাদের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘরে ঝুলছিল বিচারকের স্ত্রীর লাশ

বুমরাহকে নিয়ে ঝুঁকির মুখে ভারত: খেলালে সব শেষ?

জবি শিক্ষকের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল রেসপন্স সেন্টারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

পাথর কোয়ারি বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ইসরায়েল’

বিইউবিটিতে বিগ ব্যাং তত্ত্ব নিয়ে সেমিনার

নতুন ভূমিকায় মিরাজ, ব্যাটিং অর্ডারেও আনছেন পরিবর্তন

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুমোদন চক্রান্তের পদধ্বনি : খতমে নবুওয়ত

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় / সাবেক দুই মন্ত্রীর স্বজনসহ ৫ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

১০

দুই দফা কমে আবার বাড়ল স্বর্ণের দাম

১১

বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নারী

১২

ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন সুস্মিতা রায়

১৩

ঢাবিতে রিকশাচালকের মৃত্যু 

১৪

বাংলাদেশকে কঠিন প্রতিপক্ষ বলে মানছেন আসালাঙ্কা

১৫

জুনে এলো তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

১৬

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে আর নেই : জয়া আহসান

১৭

গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ

১৮

যে খাবারগুলো ইচ্ছেমতো খেলেও বাড়বে না ওজন

১৯

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৯০০ ফুট নিচে নেমেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান

২০
X