খাগড়াছড়িতে মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে মো. আবদুর রহমান আবির (৭) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ির ভুয়াছড়ি বায়তুল আমান ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষকের মারধরে নিহত শিক্ষার্থী আবির খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভুয়াছড়ি বায়তুল আমান ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে জেলার পানছড়ির আইয়ুব আলী মেম্বার পাড়ার মো. সারোয়ার হোসেনের ছেলে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মো. আমিনুল ইসলাম খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, শিক্ষক হাফেজ মো. আমিনুল ইসলাম মো. আবদুর রহমান আবির মারধর করেন। পরবর্তী সময়ে সে বমি করাসহ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবিরের খালা আছিয়া খাতুন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মো. আমিনুল ইসলাম তাকে ফোন করে জানায়; আবির বমি করছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে আপনারা আসেন। কিন্তু হাসপাতালে আসার পর দেখলাম ছেলের মরদেহ পড়ে আছে। তার পাশে কেউ নেই। শিক্ষক তাকে রেখে পালিয়ে গেছে।
নিহত শিক্ষার্থী মো. আবদুর রহমান আবিরের চাচা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে আমার ভাইয়ের ছেলেকে ভুয়াছড়ি মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। হাফেজ না হয়ে মরদেহ হয়ে বাড়ি ফিরবে তা আমরা মানতে পারছি না। আমরা ওই শিক্ষকের বিচার চাই।
এ বিষয়ে বায়তুল আমান ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রধান শিক্ষক ফরিদুর রহমান বলেন, আবির অসুস্থ ও বমি করছে জানানোর পর আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি। পরে আবার ফোন করে আবিরের মৃত্যুর কথা জানানো হলে আমি হাফেজ আমিনুল ইসলামকে হাসপাতালে থাকতে বলি। পরে আমি হাসপাতালে এসে দেখি ছেলেটিকে রেখে ওই শিক্ষক চলে গেছে। তাকে ফোন করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ওসি মো. আরিফুর রহমান জানান, শিশুটির শরীরে প্রাথমিকভাবে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। শিশুটির মৃত্যুর পর থেকে ওই শিক্ষককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন