গাজীপুরের বালুর মাঠ এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে এফ এ ওমর ফারুক নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে ফারুককে হত্যা করে কক্ষে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
জানা গেছে, ওমর ফারুক রংপুর জেলার মহেষা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি রওশন সড়ক বালুর মাঠ এলাকায় স্থানীয় কামরুল ইসলামের বাসার ৪র্থ তলায় ভাড়ায় বসবাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ মে) ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হলে পাশের ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি ওই ভবনের ম্যানেজারকে জানান। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে ফারুকের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সন্ধ্যায় স্বজনদের খবর দেওয়া হলে ফারুকের বড় ভাই ইকবাল মরদেহ শনাক্ত করেন।
ফারুকের স্বজনদের দাবি, বাড়ি থেকে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে কাপড়ের ব্যবসার প্রস্তুতির জন্য মে মাসে ওই ফ্ল্যাটের মেসে ওঠেন ফারুক। ওই ফ্ল্যাটে এক নারী, পুরুষ ও দুজন বাচ্চা থাকলেও মরদেহ উদ্ধারের পর তাদের হদিস মিলছে না। পরিকল্পনা করে ফারুককে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
ফারুকের বড় ভাই ইকবাল বলেন, ফারুক আমার কাছেই ছিল। কাপড়ের ব্যবসা করবে জানিয়ে আলাদাভাবে রওশন সড়ক বালুর মাঠ এলাকায় মেসে ওঠে । শুক্রবার সন্ধ্যায় থানা থেকে ফোন দিয়ে ফ্ল্যাট থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে মরদেহ শনাক্তের কথা বলে পুলিশ। পরে রাতে গিয়ে আমি ছোট ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করি। আমি ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার চাই।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন খান বলেন, আনুমানিক ৪-৫ দিন আগে ফারুকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ব্যাপারে স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন