চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তৌফিক আহমেদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে বিদেশে যাওয়ার সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তৌফিক আহমেদ চৌধুরী প্রয়াত নগর আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তিনি চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো. তারেক আজিজ কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, তৌফিকের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার মামলা, অস্ত্র ও খুনের মামলা রয়েছে। তিনি ২০১৬ সালের ৫ মে হাটহাজারীর মির্জাপুরের যুবলীগ কর্মী নুরে এলাহীকে হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, এ ছাড়া যুবলীগ কর্মী নুরে এলাহী হত্যা মামলায় ২০১৮ সালে ১৫ জুলাই অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ আদালতে কাউন্সিলর তৌফিককে আসামি করে চার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল। ওই অভিযোগপত্রে নুরে এলাহী হত্যার বিস্তারিত উঠে আসে।
আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আফছারের নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন ছিল ২০১৬ সালের ৫ মে। ওই দিন বিকেলে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় হাটহাজারীর সরকারহাট বাজারে নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন নুরে এলাহীসহ ছয় থেকে সাতজন। ঘণ্টাখানেক পর সেখানে আসেন কাউন্সিলর তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। একপর্যায়ে তিনি তার হাতে থাকা একটি পিস্তল দেখিয়ে উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘নতুন অস্ত্র কিনেছি, অনেক গুলি লোড করা যায়। এ কথা বলেই তিনি দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। নিচের দিকে আরেকটি ছোড়ার সময় নুরে এলাহী গুলিবিদ্ধ হন। মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে তৌফিক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সরে পড়েন। ওই দিন রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান নুরে এলাহী।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, বিদেশে যাওয়ার সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাবেক কাউন্সিলর তৌফিক আহমেদ গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে পল্টন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। হাটহাজারীতে রয়েছে তিনটি। এসব মামলায় তাকে চট্টগ্রাম আনার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন