প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে নিজের ফেসবুকে বিরূপ পোস্ট করায় সহকারী এক শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।
শনিবার (১৭ মে) কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মনিবুল হক বসুনীয়া। তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার আবুল কাশেম বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অফিস আদেশে বলা হয়, মনিবুল হক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য পোস্ট করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট করায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তার এমন কার্যকলাপ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এর ৭ (ঘ এবং ১০(ঙ)(ছ) অনুচ্ছেদের পরিপন্থি হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন।
চট্টগ্রামে শিক্ষা উপদেষ্টা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়া ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘আমি টিফিন ভাতা ৬ টাকা ৬৬ পয়সা নেবো না। এই টিফিন ভাতা দিয়ে কি হবে। এছাড়া শিক্ষক যখন কর্মঘণ্টা কমার জন্য আবেদন করেন, তখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ কর্মঘণ্টা বাড়িয়ে দেয়।’ শনিবার প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে তিনি তীব্র নিন্দা জানিয়ে পোস্টও করেন।
তিনি বলেন, কণ্ঠ রোধ করার জন্য আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে, যা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতোই আচরণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন