সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের সাদা পাথর পর্যটন স্পট বাঙ্কার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর লুটপাটে জড়িত ১৪ জনকে দুবছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৬০টি নৌকা ভেঙে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন নাহারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আরএনবি সদস্যদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হয়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পিজুস কুমার দাস, রিপন মিয়া, মো. মুসা মিয়া, আরিফ মিয়া, মো. মোবারক হোসেন, হযরত আলী, মো. রাসেল মিয়া, মো. জসিম মিয়া, সামছুল হক, মো. শফিকুল ইসলাম, আলী হোসেন, রাজিব হোসেন, ফয়সল আহমদ ও দেলোয়ার হোসেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় নৌকা দিয়ে সাদাপাথর লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। পাথর লুটপাটের একটি ভিডিও সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনের টাস্কফোর্স অভিযান চালায়। অভিযানে পাথরবোঝাই ইঞ্জিনচালিত বারকি ৬০টি নৌকা ধ্বংস করা হয়। পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকায় ১৪ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, সামনে থাকা সাদা পাথরবোঝাই ট্রাক ও স্তূপ করা পাথর জব্দ করার কথা বললেও ইউএনও আগ্রহ দেখাননি। শুধু নৌকায় অভিযান দিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। কিন্তু নদীর পাড়ঘেঁষা হাজার হাজার ঘনফুট পাথর স্তূপ করে রাখা থাকলেও সেগুলো জব্দ করা হয়নি। এ ছাড়া অভিযানের সামনে পাথরবোঝাই ট্রাক থাকলেও সেগুলো আটক করা হয়নি কোনো এক অজানা কারণে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, অভিযানের জন্য ইউএনও সকালে আমার কাছে ফোর্স চেয়েছেন আমি দিয়েছি। বিকেলে আরও ফোর্স পাঠানোর জন্য ফোন করে বলেছিলেন। কিন্তু কিছু সময় পর অভিযান শেষ হওয়ায় আর ফোর্স পাঠানো হয়নি। তবে কী জন্য আরও ফোর্স চেয়েছেন তা আর বলেননি। পাথরবোঝাই ট্রাক আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও আমাকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন নাহার বলেন, সাদাপাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে অভিযানে জড়িত ১৪ জনকে আটক করে দুবছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাথর লুটে ব্যবহৃত নৌকা ধ্বংস করা হয়েছে। তবে নদীর তীরে থাকা পাথরবোঝাই গাড়িগুলো ধরতে ওসিকে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন