পাইকগাছায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোস্তফা মোড়লকে অব্যাহতি দিয়েছে খুলনা জেলা বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অব্যবহিত পত্রে বলা হয়, কিছুদিন ধরে মোস্তফা মোড়লের দ্বারা কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও নিজেকে সংশোধন করতে পারেনি। এমতাবস্থায়, দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে পাইকগাছা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
পাইকগাছা পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আসলাম পারভেজ জানান, দলে চাঁদাবাজ, দখলবাজ, দাঙ্গা সৃষ্টিকারীদের স্থান নেই। মোস্তফা মোড়লকে সংশোধনের জন্য গত ১৪ মে জেলা বিএনপি কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছিল। ক্ষমা চেয়ে জেলা বিএনপির কাছে নোটিশের জবাব দিলেও নিজেকে সংশোধন না করে সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র কবিতা দাশের বাড়িতে গিয়ে মারপিট করে ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ ঘটনায় এলাকায় দলের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য নবায়ন ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় ও খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর কাছে কবিতা অভিযোগ করেন।
পরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মোমরেজুল ইসলামকে ডেকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। ঘটনার সত্যতা পেয়ে জেলা বিএনপি পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা মোড়লকে অব্যাহতি দেন।
মোস্তফা মোড়ল জানান, সমিতির অর্থ আত্মসাৎকরী আওয়ামী লীগের দোসর কবিতা রানী দাসের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে সে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে জেলা বিএনপি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম জানান, পাইকগাছা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা মোড়লের বিরুদ্ধে আগেও কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ সাবেক প্যানেল মেয়র কবিতা রানী দাসের বাড়িতে গিয়ে মারপিট ও চাঁদা দাবির ঘটনায় জেলা বিএনপি মিটিং ডেকে মোস্তফা মোড়লকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন