মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের গাড়ি ভাঙচুরসহ তার পক্ষের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ মে) সকাল থেকে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুপক্ষ। লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে উভয়পক্ষ মুখোমুখি হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে বিএনপি নেতা মনোয়ারুল হোসেন চঞ্চল, আজিমুল বারি লাভলু, কাজী মিজান মেনন অন্যতম বলে খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা বলছেন, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং সম্মেলন বানচালের উদ্দেশ্যেই হামলা হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুল হাসানের লোকজনদের অভিযোগ, আমঝুপি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবং তার ভাই সফিকুল ইসলামসহ তাদের কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে। তারা সম্মেলনস্থলে নেতাকর্মীদের আসতে বাধা প্রদান করছেন। প্রতিরোধ করতে গিয়েই হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আহতরা।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া সম্মেলনস্থলেও তাকে আর দেখা যায়নি।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন চলছিল। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কারুল হাসান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, ফয়েজ মাহমুদ, আলমগীর খাঁন ছাতু, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ইলিয়াস হোসেন, কাজি মিজান মেনন, ওমর ফারুক লিটন, এমএকে খায়রুল বাশারসহ জেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
স্থানীয়রা বলছেন, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং নেতৃত্বের দ্বন্দ্বই এ সহিংসতার মূল কারণ।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষের পরপরই পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন