সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ১১:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইউএনওর এক মাসের ছাদ পরিষ্কারে ব্যয় ২৪ হাজার

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত। ছবি : সংগৃহীত
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত। ছবি : সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের ছাদের আগাছা পরিষ্কারেই ২৪ হাজার টাকা ব্যয় দেখালেন ইউএনও। তবে ইউএনও বলছেন বিলে হয়তো মিসটেক হয়েছে।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে উল্লাপাড়া উপজেলার প্রশাসনিক ভবনের আগাছা পরিষ্কারেই ২৪ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। এমন একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার স্কয়ার ফুট ভবনের ছাদের এই আগাছা পরিষ্কার করতে এত টাকা কেন ব্যয় করা হলো, এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি বলেন, ছাদের আগাছা পরিষ্কারে এক থেকে দুজন শ্রমিক লাগার কথা, যার মজুরি সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় হাজার টাকা। ১৬ গুণ বেশি টাকা কেন লাগল তা নিয়ে প্রশ্ন করেন অনেকেই।

উপজেলা পরিষদের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ইউএনও এবং প্রশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসানাতের সভাপতিত্বে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার কার্যবিবরণীর ১৬ নম্বর ঘরে আয় ব্যয়ের উপর আলোচনা হয়।

সেখানে বিদ্যুৎ বিল, আপ্যায়ন, মহান বিজয় দিবস উদযাপনসহ বিভিন্ন খাতে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। শেষ লাইনে বর্জ্য অপসারণ খাতে প্রশাসনিক ভবনের ছাদের আগাছা পরিষ্কার বাবদ ২৪ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অফিস সহকারী রিপন কুমার বলেন, আমাদের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের পেছনে অনেক জঙ্গল ছিল সেগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। ব্যয় আরও বেশি হয়েছে। নীতিমালার মধ্যে যেভাবে আছে সেভাবে দেখাতে হয়। কিন্তু আসলে ছাদও পরিষ্কার করতে হয় পাশাপাশি আশপাশের আবাসিক ভবনে অনেক আগাছা হয় সেগুলো পরিষ্কার করতে হয়। এটা কমন একটা প্রসেস আরকি।

উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার আজাদ বলেন, ডিসেম্বরের ব্যয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি ডিসেম্বরের পরে এখানে এসেছি।

উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, এটা প্রশাসনিক ব্যাপার, ইউএনও দেখেন। আমাদের তো ফিল্ড ওয়ার্ক করার সুযোগ নেই। আমরা প্রোপার বিল ভাউচার ঠিক থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাউন্টার সাইন বা উনি যে ব্যয় করেছেন তার ডকুমেন্ট থাকলে সেটা আর ব্যাক করা সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত কালবেলাকে বলেন, ২০২৪ সালের জুন থেকেই উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থানে আগাছা পরিষ্কারে ব্যয় করা হয়েছে। ডিসেম্বরে এসে সেটার বিল করা হয়েছে। ডিসেম্বরের ওই বিলে শুধু ছাদের আগাছা পরিষ্কারের কথা লেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হয়তো মিসটেক হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে বিপ্লবী চেতনার স্রোত বইছে : মেয়র শাহাদাত 

ইসির তালিকা থেকে বাদ গেল আলোচিত যেসব প্রতীক

জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি : সচিব

রাউজানে র‍্যাবের অভিযানে স্থানীয়দের উচ্ছ্বাস, বিপুল অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২

গণভোটের নামে যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তা জনগণ মেনে নেবে না : জুয়েল

সরকার কী করবে, আমরা সত্যিই বুঝতে পারছি না : আইন উপদেষ্টা

ছড়া দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ

ডাকসুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়

শেষ কর্মদিবসে বিদ্যালয়েই মারা গেলেন প্রধান শিক্ষক

সরিয়ে দেওয়া হলো ঢাকা ওয়াসার এমডি ও ডিএসসিসির প্রশাসককে

১০

ম্যাসাচুসেটসে ব্রেস্ট ক্যানসার সারভাইভারদের সম্মাননা ও তহবিল সংগ্রহ

১১

জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোট প্রয়োজন : শিবির সভাপতি

১২

গাজায় আবারও ব্যাপক বিমান ও কামান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

১৩

র‌্যাব পরিচয়ে ইসলামী ব্যাংকের টাকা লুট

১৪

পুলিশ একাডেমি থেকে পালিয়েছেন ডিআইজি এহসানুল্লাহ

১৫

বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে

১৬

দেশে এক দিন পর কমলো স্বর্ণের দাম

১৭

বাবা হারালেন মোহাম্মদ এ আরাফাত

১৮

জুলাই সনদ : ফের ঐকমত্য কমিশনের সভা আয়োজনের দাবি

১৯

শুরু হচ্ছে নতুন কুঁড়ির ফাইনাল রাউন্ড

২০
X